রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বিনামূল্যে পুরো মাসের ঔষধ পাচ্ছেন রোগীরা

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
বিনামূল্যে পুরো মাসের ঔষধ পাচ্ছেন রোগীরা

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সম্ভবত জেলার মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর মধ্যে সবচে বেশি রোগী হয় উক্ত হাসপাতালে। আউটডোরের পাশাপাশি প্রচুর রোগী হয় এনসিডিসি (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) কর্নারে। এই কর্নারে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সার্বক্ষণিক রোগী দেখেন। এখান থেকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ রোগের ব্যবস্থাপত্র, ঔষধ ও অ-সংক্রমণ রোগের ঔষধ বিনামূল্যে দেয়া হয়। ডায়াবেটিক রোগের ইনসুলিন পর্যন্ত সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, সংক্রমণ নয় এমন রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ রোগের চিকিৎসা সেবাসহ বিনামূল্যে ঔষধ দেয়ার জন্যে সরকারিভাবে খোলা হয়েছে এনসিডিসি কর্নার। এখানে দুজন কনসালটেন্ট পাশাপাশি বসে সপ্তাহে ৬ দিন রোগী দেখেন। অ-সংক্রমণ রোগী ছাড়া যারা টিকিট কেটে এখানে আসেন তাদের সবাইকে চিকিৎসাসেবা ও আউটডোরে ঔষধ দেয়া হয়। এসব রোগীর পুরো মাসের যাবতীয় ঔষধ বিনামূল্যে সরকারিভাবে দেয়া হয়ে থাকে।

সরেজমিনে এনসিডিসি কর্নারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর রোগী সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীর বয়স ৫০ বছরের উপরে।

উপজেলার পালিশারা গ্রামের মিতা রাণী (৫০) জানান, আগে ১৫ দিনের ঔষধ বিনামূল্যে নিয়েছেন, এখন রক্তচাপ ডায়াবেটিক পরীক্ষা করে ও ঔষধ নেবেন।

শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুকের আমেনা ডায়াবেটিস রোগের নিয়মিত রোগী। তিনি বই নিয়ে এসেছেন। প্রায় ৮ মাস ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রথম দিকে পুরো মাসের সব ঔষধ পেতেন। এখন ১৫ দিনের পান।

ফরিদগঞ্জের মনতলা গ্রামের হাসিনা (৫৫) জানান, ১ মাসের ঔষধ নিয়েছেন, শেষ হয়ে গেছে। এখন ঔষধ নিতে আসছেন।

এ বিষয়ে এনসিডিসি কর্নারের চিকিৎসক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মহিবুল আলম রুবেল বলেন, প্রতিদিন আমরা ২০/২৫ জন বয়স্ক রোগী পাই। আমরা সবাইকে চিকিৎসাসেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মাওলা জানান, এনসিডিসি কর্নারে পাশের অন্য উপজেলা থেকে প্রচুর রোগী আসে। তারা ইচ্ছা করলে নিজেদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একই চিকিৎসা নিতে পারে। অ-সংক্রমণ রোগ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু পাশের উপজেলার রোগী আসার কারণে আমরা ১ মাসের বদৌলতে ভাগ করে ১৫ দিন করে দিই। ইনসুলিনের ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়