সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-২২

মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে আসা উচিত

-------অ্যাডঃ নাজমুন নাহার অনি

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে আসা উচিত

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর কন্যা অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার অনি। তিনি একে পাটওয়ারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা, আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, ঢাকাস্থ ধানমন্ডি ল’ কলেজের আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক একাডেমি, চাঁদপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি, ভাটিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি, চাঁদপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। মহান বিজয়ের মাসে চাঁদপুরের শীর্ষ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’তে তিনি বলেছেন নিজের কথা, বাবার কথা এবং নিজের ভাবনা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা ( যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?

নাজমুন নাহার অনি : ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ভাটিরগাঁও দক্ষিণ গ্রামের মরহুম গোলাম রহমান পাটওয়ারীর সন্তান, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী। এছাড়া তিনি ফরিদগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ (১৯৭০)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সভাপতি, ফরিদগঞ্জ থানা যুবলীগ (১৯৭৩), যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে গঠিত রিলিফ কমিটির স্থানীয় চেয়ারম্যান (১৯৭২) হিসেবেও কাজ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে সংগঠিত করে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। যুদ্ধকালীন সম্মুখযুদ্ধে আহত হন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে নিজ এলাকায় সর্বপ্রথম কালো ব্যাজ ধারণ, পোস্টারিং ও কালো পতাকা উত্তোলনের কারণে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হন তিনি। ২২ দিন রিমান্ডে নির্মম নির্যাতন শেষে কুমিল্লা সামারী মার্শাল ল’ কোর্টে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ৬ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড প্রাপ্ত হন। দীর্ঘ ৪ বছর ৪ মাস কারাভোগ শেষে জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?

নাজমুন নাহার অনি : আমি গর্বিত। কারণ আমি জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। যেখানেই যাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আলাদা সম্মান পাই। এর থেকে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। ছোট বেলা থেকে বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি। শুনেছি, মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃসাহসিকতার কথা। আবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের করুণ কথাও শুনেছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

নাজমুন নাহার অনি : বিষয়টি আপেক্ষিক। ১৯৭১ সালে যেই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এদেশকে স্বাধীন করার জন্যে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই একই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে আমাদের তথা যুদ্ধপরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তখন মিশন ছিল, একটি স্বাধীন দেশ। এখন ভিশন হলো অর্থনৈতিক মুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া। এদেশ থেকে অনিয়মণ্ডদুর্নীতিসহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ নতুন প্রজন্মের প্রত্যেককে নতুন এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। এদেশের মানুষ খুব সাধারণভাবে ভালো থাকতে ও বাঁচতে চায়। তাদের সেই সাধারণভাবে ভালো থাকার অধিকারটুকু নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক কিছুই করণীয় রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়