নৌকার সাথে যারা বেঈমানি করেছে তারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান।

এ সময় তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে কিছু বিদেশী শক্তি আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে কথিত জুজুর ভয় দেখাচ্ছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত জোট ও তাদের দোসররা নির্বাচনে আসলে পরাজয় নিশ্চিত জেনে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা শুরু করেছে। এদের থেকে দেশকে রক্ষার একমাত্র উপায় জনগণের ভোটে আমাদের নির্বাচিত হওয়া। তাই ৭ জানুয়ারি আমাদের বিজয়ী হওয়া অতীব জরুরি। পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাতের প্রেতাত্মা যারা আমাদের মাঝে ঘাপটি মেরে বসে থেকে আওয়ামী লীগের প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক এবং জাতির পিতার প্রতীক নৌকাকে পরাজিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জনগণ আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের উন্নয়নের কথা জানেন, তাই নেতা-কর্মীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে এসে নৌকায় ভোট প্রদান করার জন্যে আহ্বান জানতে হবে। আমাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে, কিন্তু তা অবশ্যই নৌকার সাথে বেঈমানি করে নয়। নৌকার সাথে যারা বেঈমানি করেছে তারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তাই আসুন, সকলে মিলে বিজয়ের প্রতীক নৌকায় পাল উড়িয়ে আমরা উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সামিল হই। আমাদের মনে রাখতে হবে, নৌকা ব্যতীত আওয়ামী লীগের অন্য কোনো প্রতীক নেই। তাই যারা আওয়ামী লীগের প্রতীক বলে অন্য মার্কাকে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন, তারা বিরত থাকুন। এগুলো ঠিক নয়।

সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, আওয়ামী লীগ যারা করেন বা আমরা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাদের মতের বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু নির্বাচন এবং দলের প্রতীক নিয়ে কোনো পার্থক্য থাকতে পারে না। দলের সভানেত্রী আমাদের প্রার্থী বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমানকে এ নিয়ে পরপর চারবার মনোনয়ন দিয়েছেন। তার মানে তিনিই যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। নেত্রী তাকে প্রতীক হাতে তুলে দিয়েছেন। আমাদের নেত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা উচিত। আশা করছি ড্যামির নামে যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খাজে আহমেদ মজুমদার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডঃ কামরুল হাসানের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ নাজমুন নাহার অনি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন পাটওয়ারী, উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শাহীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সহ-সভাপতি আহসান হাবিব নেভী, বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন বকাউল, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই মজুমদার, সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা শারাফত উল্লাহ, সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ আহমেদ, গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী সহ-সভাপতি আমির হোসেন মাস্টার, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবুল কাশেম আজাদ, গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর সাবের আলম তালুকদার প্রমুখ।

এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।