সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে সরকারের তিন মেয়াদে দীপু মনির ১১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকার উন্নয়ন

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে সরকারের তিন মেয়াদে দীপু মনির ১১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকার উন্নয়ন

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে চাঁদপুরে উন্নয়ন হয়েছে আকাশচুম্বী। এই পনর বছরের উন্নয়ন বলতে গেলে বিগত শত বছরের উন্নয়নকেও ছাপিয়ে গেছে। হাইমচরবাসীর শত বছরের দুঃখ মেঘনার ভাঙ্গন রোধ হয়েছে। যেটির নামকরণ হলো চাঁদপুর-হাইমচর রক্ষা বাঁধ। শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনসহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হয়েছে। চাঁদপুর-লাকসাম রেল যোগাযোগ আধুনিকায়ন হয়েছে। অসংখ্য ব্রিজ কালভার্ট হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে অর্ধশত। বিদ্যুতায়ন হয়েছে শতভাগ। আশ্রয়ন প্রকল্পে হয়েছে তিন সহস্রাধিক ঘর। চাঁদপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজে বহুতল ভবনসহ নান্দনিক করা হয়েছে। হয়েছে মেরিন একাডেমি। আড়াই শ' শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার আমূল পরিবর্তন করে সেটিকে জেলাবাসীর চিকিৎসা সেবার আস্থার জায়গায় আনা হয়েছে। হাসপাতালটিতে হয়েছে আইসিইউ, স্ক্যানো, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট এবং ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ আরটি পিসিআর ল্যাব (করোনা শনাক্তকরণ)। এক কথায় এ হাসপাতালে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য সেবায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে।

এছাড়া প্রক্রিয়াধীন এবং বাস্তবায়নাধীন রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ, স্পেশাল ইকোনমিক জোন, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আধুনিক নৌ টার্মিনাল। বাস্তবায়িত এবং বাস্তবায়নাধীন সব মিলিয়ে পনর বছরে ১১ হাজার ৫শ’ ৪৮ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায়।

এই আকাশচুম্বী উন্নয়নের কারিগর হচ্ছেন চাঁদপুর-৩ আসনের টানা তিন মেয়াদের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি। তাঁর নেতৃত্বেই এতোসব উন্নয়ন হয়েছে এবং বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সামনে হবে। সরকারের প্রথম মেয়াদে ডাঃ দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য এবং বর্তমান মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রী। টানা তিন মেয়াদে ডাঃ দীপু মনির রেকর্ড করা উন্নয়ন চাঁদপুর সদর ও হাইমচরবাসীর সামনে ঝল ঝল করছে।

পনর বছরের উন্নয়নের মেগা প্রকল্পের যদি সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয় তা হলো- ৩৭৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর-হাইমচর রক্ষা বাঁধ, ২ শ' কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি কলেজ এবং ৬৪টি স্কুল ও ৪৩টি মাদ্রাসার বহুতল ভবনসহ উন্নয়ন, ৩৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর মেরিন একাডেমি, ৮২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজে বহুতল ভবন নির্মাণ ও আধুনিকায়ন, ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর-লাকসাম রেল যোগাযোগ আধুনিকায়ন, ২২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৮৯ কিলোমিটার সড়ক, ২৬৯টি ব্রিজ ও ৫৯০টি কালভার্ট, ১০ কোটি ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতে ২৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার উন্নয়ন, ১২ শ' কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় শ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক ১৭৬ কোটি টাকার উন্নয়ন, স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও অন্যান্য খাতে ৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকার উন্নয়ন, ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩০৫৯টি ঘর নির্মাণ এবং হাইমচরে ১১১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।

আর যেগুলো বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সেগুলো হলো- চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ৮২৭ কোটি টাকা, স্পেশাল ইকোনমিক জোন ৩৮৩৯ কোটি টাকা, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আনুমানিক ২৪০০ কোটি টাকা, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ১৩৭০ কোটি টাকা এবং চাঁদপুর আধুনিক নৌ টার্মিনাল ৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

এতোসব উন্নয়ন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির হাত ধরে হয়েছে। এক প্রতিক্রিয়ায় ডাঃ দীপু মনি বলেন, চাঁদপুর-হাইমচরবাসী আমাকে তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন বলেই আমি এসব করতে পেরেছি। আমি চাঁদপুর ও হাইমচরের জন্যে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যখন যা চেয়েছি তা-ই তিনি দিয়েছেন। কখনো তিনি আমাকে ফিরিয়ে দেন নি। তারপরও আমি বলবো- এই জনপদের মানুষকে দেয়ার আরো আছে। তা ইনশাআল্লাহ আগামী মেয়াদে করবো আশা করছি যদি তাঁরা আবারো আমাকে নির্বাচিত করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়