প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-২০
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বেশি বেশি প্রচার করা দরকার
--------------আলিম আজম রেজা
ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের অধিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজা মিয়ার ৫ম সন্তান মোহাম্মদ আলিম আজম রেজা। তিনি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া ইতিপূর্বে তিনি ওই সমিতির সভাপতি ও সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী এই ব্যক্তি একজন সদালাপী। এছাড়া তিনি পাইকপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন।
মহান বিজয়ের মাসে চাঁদপুরের শীর্ষ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’তে তিনি বলেছেন নিজের কথা, বাবার কথা এবং নিজের ভাবনা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?
আলিম আজম রেজা : মুহাম্মদ রাজা মিয়া। তার পিতা মৌলভী সেকান্দর মিয়া, মাতা সৈয়দা সাজেদার নেছা। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। যুদ্ধকালে কাঁঠালিয়া ইয়ুথ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক। প্রখ্যাত এই রাজনীতিবিদ ১৮৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলেও তার প্রতিপক্ষ মাওলানা এমএ মান্নান জোর করে নিজের অনুকূলে ফলাফল নিয়ে যান। পুরো উপজেলায় তিনি রাজা মিয়া স্যার নামে পরিচিত।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
আলিম আজম রেজা : একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে আমরা গর্বিত। যাদের মহান আত্মত্যাগে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাকে আমরা বিনয়াবনত মস্তকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমাদের চাওয়া, জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার-পরিজন, মৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার পরিজনকে জাতি যেনো যথাযথ সম্মান দেয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
আলিম আজম রেজা : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বেশি বেশি প্রচার করা। নূতন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চেতনায় উজ্জীবিত করা। এদেশের মাটি হতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের চিরতরে নির্মূলের ব্যবস্থা করা। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে জাতীয়ভাবে তাদের ঘৃণা ও বয়কট করা।