সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-১৮

সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করতে পারি

-----মোঃ মেহেদী হাসান

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥
সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করতে পারি

মুক্তিযোদ্ধারা হলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের পুত্র হিসেবে নিজেকে নিয়ে সবসময় গর্ববোধ করি। আমার বাবা ভারতে ট্রেনিং শেষে দেশে এসে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আয়োজনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’ শিরোনামে আজকের পর্বে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কচুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার জাবের মিয়ার সন্তান মোঃ মেহেদী হাসান। তিনি বলেন উপরের কথাগুলো। নিচে প্রশ্নোত্তর আকারে পুরো সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো :-

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?

মোঃ মেহেদী হাসান : আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাবের মিয়া। পিতা মৃত মৌলভী ইদ্রিছ মিয়া। গ্রাম আমুজান, কচুয়া, চাঁদপুর। বেসামরিক গেজেট নং : ১৪৭৪, লাল বার্তা নং : ০২০৫০৪০০৩৩, সনদ নং : ০১১৩০০০৪২৮৪। ১৯৭১ সালে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএ ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় ভারতের উত্তর প্রদেশের ধেরাধন ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ডেপুটি কমান্ডার অপারেশন (বিএলএফ) হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় হন। তিনি মেহেরে ২বার, নাওড়া, পিপলকরা, জগৎপুর ও সাদিপুরায় সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?

মোঃ মেহেদী হাসান : একজন সর্বকালের সেরা বাঙালির সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্বিত। আমার বাবা-চাচারা বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্যে পরিবারের পরোয়া না করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলা ছিনিয়ে এনেছিলেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন আজও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

মোঃ মেহেদী হাসান : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত লক্ষ্য ও সঠিক ইতিহাস সকলের মাঝে তুলে ধরতে পারি এবং স্বাধীনতার পরবর্তী লক্ষ্যসমূহ সম্পর্কে সবাই জানাতে পারি। লক্ষ্যের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে পারি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে সাথে নিয়ে নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করতে পারি।

উল্লেখ্য, মোঃ মেহেদী হাসান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তার কর্মস্থল কচুয়া।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়