সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের জয়িতার স্বামীর ওপর হামলার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
ফরিদগঞ্জের জয়িতার স্বামীর ওপর হামলার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে এক জয়িতা ও তার স্বামীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার জন্যে দান করা একটি কার্পেট নিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুরুতর আহত জয়িতা সেলিনা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে চাঁদপুর আমলী আদালতে মামলা করলে আদালত ঘটনাটি তদন্তে পিবিআইকে দায়িত্ব প্রদান করে।

আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ ও উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত সেলিনা বেগম সূত্রে জানা যায়, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ভোট স্কুল খ্যাত এলাকায় কয়েক বছর পূর্বে নিজের জমির ওপর ঘর নির্মাণ করে আসা সাহাবা তাহফিজুল কুলআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা কিছুদিন চলার পর স্বীয় ব্যস্ততাহেতু পাশর্^বর্তী মোঃ নজরুল্লাহ খানের সাথে মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্যে ভাড়ায় ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি করেন রফিকুল ইসলাম। ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে আল ফালাহ নূরানী মাদ্রাসা নামকরণ করেন নজরুল্লাহ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ৩ বছর পরিচালনা করলেও তিনি কোনো ভাড়ার টাকা দেননি, বরং তিন বছর হওয়ায় তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা করবেন না বলে জানান। পরবর্তীতে ভাড়ার টাকা নিয়ে মধ্যস্থতায় নামমাত্র টাকা দিয়ে তিনি বাকি টাকা মালামালের ওপর কেটে দেন। মাদ্রাসার বিষয় নিয়ে গত গত ৮ ডিসেম্বর সকালে নজরুল্লাহ খান ও সৌরভ তার সাথে অশোভন আচরণ করেন এবং তাকে চড় মারেন।

সেলিনা বেগম আরো বলেন, আমাদের পূর্বের নামের মাদ্রাসা চলাকালীন স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি দামী কার্পেট প্রদান করেন। দান করা ওই কার্পেট বাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় আমি এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে ওই দিন দুুপুরেই বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে বসা আমার হৃদরোগে আক্রান্ত স্বামী রফিকুল ইসলামের ওপর হঠাৎ করেই হামলা করে স্থানীয় বাচ্চু মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন ও ইউছুফ হোসেন। তারা আমার স্বামীকে বেদম প্রহার করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

সেলিনা বেগম আরো জানান, এই ঘটনার পর তারা আতঙ্কে রয়েছেন। তার স্বামীকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। একটি মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে এই ঘটনা তিনি কখনোই কামনা করেন নি।

কোনো কুলকিনারা না পেয়ে তিনি চাঁদপুর আদালতে মামলা করেছেন। আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। এদিকে ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউছুফ হোসেন বলেন, রফিকুল ইসলামের সাথে তার বাড়ির সামনের দোকানে কথাকাটাকাটি এবং ৩০/৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হাতাহাতি হয়েছে, এর বেশি নয়। পুলিশ এসে একবার ঘুরে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়