প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরগুলোতে বোরো মৌসুমে ধান চাষ নিয়ে মেয়রের আবারো বিজ্ঞপ্তি জারি
ধান চাষে বাধা দিচ্ছে চর কমিটির একটি পক্ষ-দাবি কৃষকদের
ক্রমবর্ধমান খাদ্যের উচ্চমূল্য এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার তাগিদকে বাস্তবায়ন করতে ফরিদগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে এক ফসলি জমিতে চার মাস ধান চাষ ও বাকি ৮ মাস মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র চরে ধানচাষ বাদ দিয়ে সারাবছর মাছ চাষ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কৃষকদের দাবি ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরগুদাড়া গজারিয়া চর মাছচাষের জন্যে ইজারা দিতে চরের সভাপতিসহ কমিটির একটি অংশ তৎপর হয়ে উঠেছে। ফলে ধান চাষের বীজতলা তৈরি করলেও এখন ধানের আবাদ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এমতাবস্থার কৃষকরা বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর কাছে আসে। কৃষকদের কথা শুনে তিনি ১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোরো মৌসুমে চরের জমিতে ৪ মাস ধান চাষ ও ৮ মাস মাছ চাষ হবে বলে পুনরায় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি (স্মারক নং-ফঃ পৌঃ/প্রশাঃ/২০২৩/৪৫২) প্রদান করেন।
চরের কৃষক হাবিব উল্লা, আহসান উল্লা, মাসুদ, আমির হোসেন লোকজন জানান, আমাদের দাবি ও সরকারের সিদ্ধান্ত না মেনে চরের সভাপতিসহ ক’জন জোরপূর্বক সারা বছরের জন্যে চর ইজারা দিতে পাঁয়তারা করছে। তাই আমরা মেয়রের কাছে এসেছি।
ওই সময় উপস্থিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানান, গত ১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন চরগুলোত বোরো মৌসুমে এক ফসলি জমিতে ধান ও মাছ চাষ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই অনুযায়ী আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করেছি।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী এ ব্যাপারে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করতে পারবে না। কৃষকদের ন্যায্য দাবি প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সকলে মিলে চার মাস ধান ও বাকি ৮ মাস মাছ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।