প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মতলব উত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি কালো অধ্যায়
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এইদিনে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী, সাংবাদিক, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের হত্যা করেছে। আজ এই দিনে সকল শহীদের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা। সেই ক্ষত-বিক্ষত দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১-এর ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তানী বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়, তখন তারা বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার জন্যে পরিকল্পনা করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। সেজন্যে ৭১-এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-মৌলবাদী চক্র এবং দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যে কোনও চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের আরেক নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য আমার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু মারা গেছেন। আমার ছেলের অকাল মৃত্যুতে গভীর আমরা শোকাহত। আপনারা তার জন্যে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম জজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইলিয়াছুর রহমান ও জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার হোসেন।