প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর-৪ আসনে প্রার্থীদের হলফনামা
সাজ্জাদ রশিদের স্ত্রীর নামে ঢাকায় দুটি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট, আঃ কাদিরের মৎস্য খাত থেকে আয় বেশি, মিশকাতের আয় ধর্মীয় আলোচনায়
এমবিএ পাস করা শেখ সাজ্জাদ রশিদ সুমন জাতীয় পার্টির হিসেবে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা। এছাড়া তিনি চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বরত রয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত খেলাপির কারণে। যদিও গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের আপিলে তিনি তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তার দাখিল করা হলফনামায় তিনি নিজের নামে বাড়ি ভাড়া হিসেবে আয় দেখিয়েছেন ৯ লক্ষ ৬০হাজার এবং নির্ভরশীলদের নামে ১০ লক্ষ ৯০ হাজার ২১৪ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নিজের নগদ টাকা রয়েছে ২৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৯৪ টাকা এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৯২৯ টাকা। নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এফডিআর করা রয়েছে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪০ লক্ষ টাকা। যানবাহন বাবদ ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। এছাড়া স্বর্ণালঙ্কার নিজের নামে ৪০ তোলা ও স্ত্রীর নামে ৫০ তোলা রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে কৃষি জমি ৩ শতাংশ, যার মূল্য ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা, যৌথ নামে ১.৬৪ একর সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ৫৭ লক্ষ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। এর মধ্যে তার অংশের মূল্য ১৬ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
সুমনের স্ত্রীর নামে ঢাকার লক্ষ্মীবাজার ও লালমাটিয়া এলাকায় দুটি বাড়ি আছে। যার মূল্য ১কোটি ৮৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। যৌথ মালিকানায় ঢাকার উত্তরায় একটি বাড়ি আছে, যার মূল্য ৫৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৫২ টাকা। এর মধ্যে তার নিজের অংশের মূল্য ১৭ লক্ষ ১৪ হাজার ২৮৬ টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি আছে, যার মূল্য ৩৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৭৬ টাকা।
জাকের পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী। তার আয়ের উৎস কৃষিখাত থেকে ৯ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ লক্ষ ৭১হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা রয়েছে। তিনি ৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার পেয়েছেন উপহার হিসেবে। তার স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের কৃষি জমি আছে।
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অ্যাডঃ মোঃ আবদুল কাদির তালুকদার ও মোঃ সেলিম মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও যাচাই বাছাইয়ে মোঃ সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। ফলে অ্যাডঃ মোঃ আবদুল কাদির তালুকদার একমাত্র প্রার্থী। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তার দাখিলকৃত হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে নিজ নামে কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ৫৬ হাজার টাকা, পেশা থেকে আয় ৩লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা এবং মৎস্য খাত থেকে ৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে রয়েছে নগদ ২লক্ষ টাকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে কৃষি জমি আছে ৩. ৫৮ একর এবং ১ একর সম্পত্তির উপর বাড়ি রয়েছে।
বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী তরিকত ফেডারেশনের চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে প্রার্থী। ধর্মীয় আলোচনা এবং ব্যবসার মাধ্যমেই তার আয় আসে। ব্যবসা করে আয় ৩ লক্ষ ১২ হাজার টাকা, ধর্মীয় আলোচনায় সম্মানি ২ লক্ষ ২হাজার টাকা অর্জন করেছেন--দাখিলকৃত হলফনামায় এই তথ্য রয়েছে। তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা ২৩ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা রয়েছে। এছাড়া নিজের ৩০ভরি স্বর্ণালংকার আছে।
আব্দুল গণি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তার আয়ের উৎস নিজ নামে কৃষিখাত থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা এবং ছেলের নামে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। নিজের নামে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। বৈবাহিক সূত্রে তিনি দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার পেয়েছেন, যার মূল্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নিজের নামে কৃষি জমি আছে ২৬ শতাংশ, অকৃষি জমি আছে ১২ শতাংশ এবং একটি ১ তলা বিল্ডিং বাড়ি আছে, যার মূল্য ২ লক্ষ টাকা।