প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে প্রজন্মকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে হবে
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, আমরা অনেক দিবস পালন করি। প্রত্যেকটি দিবসেরই অন্তর্নিহিত তাৎপর্য রয়েছে। তেমনি বুদ্ধিজীবী দিবসেরও রয়েছে অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। যে কারণে আজকের এই আলোচনায় নতুন প্রজন্মকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আগামীর বাংলাদেশ এই প্রজন্মের হাতে। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এই প্রজন্মকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ থেকে ৭২’র জানুয়ারি পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। সবচেয়ে বেশি এবং পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয় ১৪ ডিসেম্বর। সে জন্য এদিন শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। আর সে চক্রান্তের নীল নকশা হিসেবে তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের সন্তানদের প্রতি জাতির তথা আমাদের কর্তব্য রয়েছে। তারা যাতে উপলব্ধি করতে পারেন যে, তাদের ত্যাগ বৃথা যায়নি। আজও বর্তমান প্রজন্ম তা মনে রেখেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম (সেবা), পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ।
ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।