বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে বাপ্পী হত্যা মামলায় সফলতা দেখালো পিবিআই
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

প্রায় পৌনে ৩ বছর পর হাজীগঞ্জের আবু বকর বাপ্পী (৩২) হত্যা মামলা রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। এ মামলায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত সোমবার রাতে তাদেরকে আটক করে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজের ৩ দিন পর হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপরেই নিহতের বাবা আলহাজ্ব সেলিম মিয়া বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো : হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া গ্রামের বৈষ্ণব বাড়ির গৌতম চন্দ্র সাহা (২৭), একই বাড়ির জীবন সাহা নিরব ওরফে সাগর (২৫), অন্তু সাহা (২৯) ও লাকসামের বাসিন্দা বর্তমানে মকিমাবাদ সেবাশ্রমে বসবাসকারী সুকেশ কান্তি চৌধুরী (৪৩)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই, চাঁদপুর-এর উপ-পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম মীর জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকালে বাদীর এজাহার পর্যালোচনায় ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ, মোবাইলের কললিস্ট ও তদন্তে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুকেশ ও গৌতম মামলার বাদী ও নিহতের বাবা সেলিম মিয়ার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ডের রান্ধুনীমুড়া গ্রামের সোলেমান বেপারী বাড়ি ওরফে হুনার বাড়ির পুকুর থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি আলহাজ সেলিম মিয়ার বড় ছেলে মোঃ আবু বকর বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় বাপ্পী। পরে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন তার বাবা আলহাজ্ব মোঃ সেলিম মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যার নং : ১০৪১। নিহত মোঃ আবু বকর বাপ্পী পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী এবং মোঃ আব্দুল্লাহ্ (৫) ও আদিবা (৩) নামের দুই শিশু সন্তান রয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া এলাকার সোলেমান বেপারী বাড়ির পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাজীগঞ্জ থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন রনি ও পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মোঃ সুমন মিয়াসহ কর্মকর্তাগণ।

পরে পুলিশ পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন এবং ঘটনার সাথে জড়িত বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে নিখোঁজ বাপ্পীর পরিবারের লোকজন উপস্থিত হয়ে তার মরদেহ নিশ্চিত করেন। এরপর চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বাপ্পীর মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের পক্ষ থেকে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পিবিআইসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে নিহত আবু বকর বাপ্পীর বাবা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, ওই সময়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন এবং আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আশা করি, খুব শীঘ্রই রহস্য উদ্ঘাটন করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়