বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

লবাইরকান্দি সপ্রাবির জমি দখল করে ভবন ॥ বাউন্ডারি নির্মাণে জটিলতা
মতলব উত্তর ব্যুরো ॥

মতলব উত্তর উপজেলার ৬নং লবাইরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোরপূর্বক দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী নির্মাণ করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে এই স্কুলের অনুকূলে ৩৪ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্যদের অংশীদার শাহজাহান ও তার ভাইয়েরা বিদ্যালয়ের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে ভবন নির্মাণ করে।

সম্প্রতি এই বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি নির্মাণের কার্যাদেশ আসে। ঠিকাদার কাজ করতে গিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন না। প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে শাহজাহানের ভবনের ভেতর ৩ ফুট জায়গা আছে বিদ্যালয়ের। এই ৩ ফুট ছাড়াও বিভিন্ন গাছ রোপণ করে ও রান্নাঘর তৈরি করে আরো ৫ ফুট জায়গা দখল করে রেখেছে। এখন বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। শাহজাহান ও তার ভাইদ্বয় মিলে বিদ্যালয়ের জায়গা জোরপূর্বক দখল করায় বাউন্ডারি দিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহজাহান জানান, বিদ্যালয়ের জায়গা আমরাই দান করেছি, এখন আমাদের প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করছি, গাছগুলো কেটে দিবো। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ শাহজালাল বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা মাপার সময় আমাকে জানানো হয়নি। তাই সীমানা কোথায় পড়েছে তা আমি জানি না। তারপরও প্রধান শিক্ষককে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, বিদ্যালয়ের জমির দখল ছাড়তে শাহজাহানকে বার বার বলার পরও তিনি দখল ছাড়েননি। পরে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হানিফকে জানালে তার পরামর্শ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান বলেন, বিষয়টি তদারকি করার জন্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেলায়েত হোসেন জানান, আমি ও ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে যাই। শাহজাহানকে তার গাছগুলো কাটার জন্যে বলে দিয়েছি। গাছ না কাটলে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গাছ কেটে বিদ্যালয়ের জায়গা পুনরুদ্ধার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়