ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে বাংলাদেশ। আগামীতে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আগামী বছর নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবে শেখ হাসিনা।

১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বাঁধ রক্ষায় ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকায় নদীতে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সেচ ও নিষ্কাশন খাল, সেচ অবকাঠামো মেরামত ও পুনর্বাসন কাজ করা হবে। জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন ও নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এনে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১১ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন করবে। জানুয়ারি ২০২৩ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

নূরুল আমিন রুহুল বলেন, মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন রোধ করা গেলে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা যাবে। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। বাঁধ রক্ষায় সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আল এমরান খান, জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মোঃ আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তাছলিমা আক্তার আঁখি, এসও জাহাঙ্গীর আলম, আঃ রহিম, এসডি ওয়াহেদুর রহমান ভূঁইয়া, সুভ সরকার, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম তাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রব, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।