বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

হাইমচর ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি মামুনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র
হাইমচর প্রতিনিধি ॥

হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি হাসান আল মামুনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কমিটি নিয়ে খেলোয়াড়দের রয়েছে অভিযোগ। বর্তমানে প্রতিটি খেলেয়াড়কে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। তদের অভিযোগ, তারা যখন খেলতেন তখন কেন তাদের সম্মানী দেয়া হতো না। তখনকার ক্রীড়া সংস্থার কমিটি তাদের টাকা আত্মসাৎ করতেন--অভিযোগ তাদের।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক খেলোয়াড় মিলাদ হোসেন মাঝি বলেন, আমাদের টাকা আত্মসাৎ করা সেই কমিটির লোকজন পুনরায় নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড় হয়ে জেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিনা স্বার্থে খেলেছি। বর্তমানে জানতে পারলাম, উপজেলা পর্যায়ে খেলোয়াড়দের জন্য সম্মানী বাবদ ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন খেলেছি তখন সম্মানী বাবদ আমাদেরকে কোনো টাকা দেয়া হয়নি। আমাদের প্রশ্ন, তখনকার খেলোয়াড়দের সম্মানীর টাকা গেল কোথায়? কারা এই সম্মানীর টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যারা আমাদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদের শাস্তি দাবি কামনা করছি। তারাই আবার ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব নেয়ার জন্যে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

সাবেক খেলোয়াড় রাসেল মুন্সী বলেন, আমরা যখন উপজেলা টিমে উপজেলার পক্ষে হয়ে জেলা পর্যায়ে খেলেছি, তখন আমাদেরকে তেমনভাবে কোনো সহযোগিতা করেনি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কমিটি। বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে আমাদেরকে জার্সি, বল ও অ্যালোমোনিয়ামের বার পোস্টসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে বর্তমান খেলোয়াড় মোঃ শাজারুল ইসলাম সবুজ বলেন, বিগত ৪/৫ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার যতগুলো খেলা উপহার দিয়েছে, প্রতিটি খেলায় নিয়মশৃঙ্খলা রেখেই হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। বিভিন্ন খেলায় চ্যম্পিয়ন হয়েছে। ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি মামুন ভাই দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করছেন। আর এই কাজে হিংসাত্মক হয়ে বিগত দিনের খেলোয়াড়দের টাকা মেরে দেয়া সেই লোকজনই এখন ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা বালিকা ফুটবল একাডেমির অধিনায়ক ফারজানা জাহান প্রেমা বলেন, বর্তমান উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির মাধ্যমেই আমাদের একটি প্রমীলা ফুটবল একাডেমি রয়েছে। চাঁদপুর জেলার মধ্যে ৮টি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে, তার মধ্যে আমাদের সংস্থার মাধ্যমে রয়েছে উক্ত একাডেমি। বিগত ৪/৫ বছর ধরে জেলার সকল খেলায় আমরা অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। সাবেক কমিটির মাধ্যমে কখনো আমাদের বালিকা টিম অংশগ্রহণ করেছে কিনা আমাদের জানা নেই। আর সেই তারা নাকি আবার দায়িত্বে আসতে চায়। এটা সত্যিই দুঃখজনক। যারা এলাকায় চাঁদাবাজ নামে পরিচিত, সাংবাদিক নামে কতিপয় সাংঘাতিক, তাদের কাছে কখনোই ভালো কিছু আশা করা যায় না। তারা দায়িত্বে আসলে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা নামটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে হাইমচর ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি হাসান আল মামুন বলেন, বিগত ক’বছর আমি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার খেলায় সহযোগিতা করার পর থেকে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছে। ২০২১ সালে জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সেমি-ফাইনালে গিয়ে হেরে যায়। ২০২২ সালের আইজিপি কাপ কাবাডি খেলায় হাইমচর উপজেলা রানার্সআপ, ২০২৩ সালে শেখ কামাল কাবাডি খেলায় হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা চ্যাম্পিয়ন ও ২০২৩ সালে আন্তঃউপজেলা অনূর্ধ্ব-২১ কাবাডি খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০২২ সালে বিভাগীয় খেলায় হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ৫ জন চট্টগ্রামে কাবাডি খেলে। এই সাফল্য দেখে টাকা আত্মসাৎ করে খাওয়া সাবেক ক্রীড়া সংগঠকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর আমার নামে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছে, আমি নাকি কারো নামে বেশি টাকা বরাদ্দ করে কম দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যার যত টাকা বরাদ্দ করে দেয় সে তা-ই সম্মানী পায়। বিগত ৪/৫ বছর সরকার বরাদ্দকৃত যে কয়টা খেলা হওয়ার কথা, সবক’টিতে নিয়মণ্ডকানুনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করায় তাদের মাথায় হাত পড়ে গেছে। তাদের সময়ও এ রকম সকল খেলা ছিলো, কিন্তু তারা খেলায় অংশগ্রহণ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। বর্তমানে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের সকল ইউনিয়ন থেকে বেছে খেলোয়াড় নেয়া হয়। বিগত ৫/৬ বছর আগে একই ইউনিয়নের একটা ওয়ার্ডের খেলোয়াড় নিয়ে খেলা হতো। সামনেও যাতে হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভালো খেলোয়াড় নিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার অনুরোধ করছি হাইমচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহোদয়ের প্রতি। বিগত দিনের খেলোয়াড়রা বিনা পয়সায় খেলাধুলা করতেন, ওই সময়ে তারা কোনো সম্মানী পেতেন না, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমার মাধ্যমে তারা সম্মানী দেন। আমি সঠিকভাবে খেলোয়াড়দের মাঝে সম্মানী বিতরণ করায় ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কমিটির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সবাই জানতে পারে। তাই সেই কুচক্রী মহল দায়িত্বে আসার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এখন আমাকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, আমি ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব নেয়ার পর আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছি। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই একটি কুচক্রী মহল দায়িত্ব নেয়ার জন্যে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা কোনোভাবে যাতে দায়িত্ব নিতে না পারে সেজন্যে এখন আমার প্রতিনিধি মামুনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে তাকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি তাদের এ ধরনের নিম্ন মনমানসিকতার কর্মকাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়