প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসার বাইরে মাদ্রাসার দপ্তরী এবং পরে মাদ্রাসায় ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্ণি সৈয়দ তাহেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গতকাল ৪ অক্টোবর বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, মাদ্রাসাটির কিছু সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। মাদ্রাসার দপ্তরী দেলোয়ার হোসেন জানান, মাদ্রাসার সামনে থাকা একটি সুপারী বাগান থেকে সুপারী পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ অক্টোবর বুধবার সকালে স্থানীয় জনৈক ফজল আহাম্মদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দপ্তরীকে হুমকি ও গালাগাল দেয় এবং লাঞ্ছিত করে। এছাড়া মাদ্রাসার সুপার জয়নুল আবেদীনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে ফজল আহাম্মদকে মাদ্রাসা অফিস কক্ষে বসিয়ে ঘটনাটির সমাধানের চেষ্টাকালে তার ভাই তছলিম মোল্লা, তার ছেলে জিহাদ উপস্থিত হয়ে একইভাবে হুমকি-ধমকির এক পর্যায়ে রাকিব, শাওন ও তাহছিন নামে তিনজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে মাদ্রাসার সহঃ সুপার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদ্রাসার সুপার জয়নুল আবেদিন জানান, হঠাৎ করেই হুমকি, গালাগাল এবং হামলার ঘটনা ঘটে। গত শনিবারও ফজল আহাম্মদ তাকে হুমকি প্রদান করেন।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান জানান, কয়েকদিন পূর্বে ফজল আহাম্মদ মাদ্রাসা সুপারের সাথে খারাপ আচরণ করেন। মাদ্রাসার জমি নিয়ে ফজল আহাম্মদের সাথে আদালতে মামলা থাকলেও তারা মাদ্রাসার জমি নিয়ে ঝামেলা করবে না বলে ইতিপূর্বে অঙ্গীকার করে। কিন্তু তারা আবারো এই কাজ করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ফজল আহাম্মদকে তার বক্তব্যের জন্যে পাওয়া যায়নি।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই ইসামাইল হোসেন ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন বলে জানান।