প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী মোবারক হোসেন (৪৮) নিহত হন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে এই মামলায় তিনি আড়াই মাস কারাগারে ছিলেন।
গতকাল ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে মতলব উত্তরের আমলী আদালতের বিচারক নাজমুল হাসান চৌধুরী তার জামিন না-মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের ১৭ জুন হত্যার ঘটনায় নিহত যুবলীগ কর্মীর ভাই আমির হোসেন কালু ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানকে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের নামে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরদিন ১৮ জুন সকালে কাজী মিজানকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান কাজী মিজান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডঃ সেলিম মিয়া জানান, চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপের অতর্কিত হামলা এবং গুলিতে মোবারক হোসেন বাবু নিহত হন। বাবু হত্যা মামলার প্রধান আসামী কাজী মিজানুর রহমানকে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিন ৮ সপ্তাহের জন্যে স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ৫ সেপ্টেম্বর এ স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর জামিন স্থগিতাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কপি চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন ৮ সপ্তাহের জন্যে স্থগিতের খবরে মামলার নির্ধারিত তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর আসামী কাজী মিজানুর রহমান আদালতে হাজির হননি বলে তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে কাজী মিজান, কাজী মতিন ও কাজী হাবিব জামিন পেলে ওই দিনই মামলার বাদী ও নিহত বাবুর ভাই আমির হোসেন কালু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত কাজী মিজানুর রহমানকে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া ও অ্যাডভোকেট আল আমিন উজ্জ্বল এ প্রতিবেদককে আরো জানান, আমরা বাবু হত্যা মামলায় ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।