আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া যে কোনো দেশ এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করতে পারি, আমরা সবাই উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনার পক্ষেই আছি। ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার গজরায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনের মাধ্যমে মতলব উত্তরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন কোথাও আগুন লাগলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে এ স্টেশনের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অনতিবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে জানাতে হবে।

ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক আব্দুল হালিম সভাপতিত্বে এবং চাঁদপুরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর শহীদ আতাহার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আরিফ উল্যাহ সরকার ও কুমিল্লার সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

ফায়ার স্টেশন সূত্রে জানা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সমূহে ১৫৬টি (সংশোধিত ১৪৩টি) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন প্রকল্পের আওতায় গণপূর্ত অধিদপ্তর (চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগ) কাজটি বাস্তবায়ন করে। গজরাতে ‘বি’ শ্রেণির ফায়ার স্টেশনের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর। কাজ শেষ হয় ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুযারি। স্টেশন হস্তান্তর করা হয় একই বছরের ৪ জুলাই। নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম. ডব্লিউ. এইচ. এন্টারপ্রাইজ। মঞ্জুরিকৃত জনবল ২৪জন।

এই স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ জাকির হোসেন জানান, ফায়ার স্টেশনের সকল সরঞ্জাম স্টেশনে পেঁৗঁছেছে। জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।