বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

শিশুকে হত্যা করে পুঁতে রাখা হাজীগঞ্জের সৎ মায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

স্বামীর পূর্বের স্ত্রীর গর্ভের শিশু সন্তান আহমেদ হোসেন মিরন (৩)কে বাবার বাড়ি রামগঞ্জে নিয়ে হত্যা করার দায়ে হাজীগঞ্জের গৃহবধূ ও শিশুটির সৎ মা কোহিনুর বেগমকে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলামের আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালত এই সৎ মায়ের ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর গত সোমবার দুপুর ১টার দিকে এ রায় দেন। রায়ের সময় কোহিনুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলাটির বাদী শিশুটির বাবা হাফেজ মোঃ শাহমিরান হাজীগঞ্জের বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চোঁ গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে। এ মামলায় সন্তান হত্যাকারী স্ত্রী কোহিনুর বেগম বিচারপ্রার্থী হাফেজ শাহমিরানের দ্বিতীয় স্ত্রী। শাহমিরানের প্রথম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে সাবেক স্ত্রীর কাছ থেকে সন্তানকে রেখে দেন। কোহিনুর বেগম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের চকিদার বাড়ির মৃত মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে। বাবার বাড়িতে শিশুটিকে হত্যা করে বাবার বসতঘরের চৌকির নিচে মাটি চাপা দিয়ে হাজীগঞ্জে স্বামীর বাড়িতে এসে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছে বলে ঘটনা সাজানোর বৃথা চেষ্টা করে কোহিনুর। হত্যার সময় কোহিনুর ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। পরে জেলে থাকাবস্থায় সে সন্তান প্রসব করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট তারিখে আহমেদ হোসেন মিরনকে সাথে নিয়ে কোহিনুর বেগম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের চকিদার বাড়িতে বেড়াতে যান। তার ২ দিন পর ২৯ আগস্ট স্বামীর বাড়িতে একা ফিরে এসে শিশুটি নিখোঁজ হয় বলে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানান কোহিনুর বেগম। বিষয়টি স্বামীর বাড়ির লোকদের সন্দেহ হলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা জেনে কোহিনুরকে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সন্তান হত্যা করে বাবার বাড়িতে মাটি চাপা দেবার কথা স্বীকার করেন। এর পরেই হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ কোহিনুরকে রামগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। একই দিন বিকেলে রামগঞ্জ থানা পুলিশ কোহিনুরের দেখিয়ে দেয়া তার বাবার বসতঘরের বারান্দার খাটের নিচে মাটি চাপা দেয়া অবস্থা থেকে মিরনের লাশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, হাফেজ শাহমিরান ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ২০২১ সালে তাদের বিয়ে হয়। শাহমিরানের প্রথম স্ত্রীর ঘরের একমাত্র ছেলে আহম্মেদ হোসেন। অপর দিকে কোহিনুর বেগমেরও প্রথম স্বামীর ঘরে ৯ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান ছিল এবং ওই সময়ে দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তিনি স্বামী শাহমিরানের সাথে রায়চোঁ গ্রামের হাজী বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়