রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য করলেন মুক্তিযোদ্ধা বাবা
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

‘আজ সকালে চোখের জল ঢেকে আমি আমার নাতি ও পুত্রবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। আর বিকেলে এসে সংবাদ সম্মেলনে আবারো সবার সামনে মাদকাসক্ত মেজো ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলাম। আমি আমার ছেলেকে এই পথ থেকে ফেরানোর অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসাপরায়ণকারীরা বারবার তাকে বিপথে নিয়ে গেছে। আমার এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে নিয়ে মুখে না বলার মতো ঘৃণ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমি আমার দায়িত্বকে পবিত্র মনে করি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বদা সহযোগিতা করে আসছি’। গতকাল শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সহিদ উল্লা তপাদার এ কথা বলেন।

তিনি এ সময় সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ সকল কিছু থেকে বঞ্চিত করাসহ মাদকাসক্ত মেজো ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (৩৮)কে ত্যাজ্য করার কথা বলেন। একই সাথে ত্যাজ্য করা ছেলের দুরবস্থার জন্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষসহ তার প্রতি প্রতিহিংসাকে দায়ী করেন।

ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ফরহাদের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সারোয়ার হোসেন, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম পাটওয়ারী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সহিদ উল্লা তপাদার বলেন, আমার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। উপজেলার সরখাল কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আমরা মেজো ছেলে আরিফ হোসেন এলাকার কিছু বখাটে এবং আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সংস্পর্শে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এলাকায় আমার রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার মানসে এলাকার কিছু কুচক্রিমহল এবং আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন আরিফ হোসেনকে তাদের দলে ভিড়িয়ে মাদকাসক্ত করাসহ আমার পেছনে লেলিয়ে দেয়। আরিফকে মাদক সেবন হতে সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। ফলে বাধ্য হয়ে তাকে আমার পরিবারের সকলের সাথে আলোচনা করে আমার পরিবার হতে পৃথক করে দিই। তাকে আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হতে কোনো হিস্যা না দিয়ে মৌখিকভাবে বাড়ির সকলের সামনে ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা করি। সর্বশেষ সে গত ১৯ জুলাই আবারো ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে মাদকসহ আটক হওয়ার পর আমি বাধ্য হয়ে আজকে (২২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে ত্যাজ্য করলাম।

তিনি বলেন, শুধু তাই, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও প্রতিহিংসাপরায়ণ লোকজন আমাকে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে। সর্বশেষ পুলিশ সুপারের নিকট দায়ের করা একটি অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রমাণিত হয়।

উল্লেখ্য, সহিদ উল্লা তপাদার টানা কয়েকবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়