আর কমাস পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সব কিছু ঠিক থাকলে এই বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। সরকারের বিভিন্ন সূত্র থেকে এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আর সরকার দল তথা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতিও সেভাবে চলছে। তবে সরকার দলের সবচেয়ে মাথা ব্যথা হচ্ছে অন্তঃকোন্দল। দলের মধ্যে বিভাজন, বিভক্তি, দ্বন্দ্ব-কোন্দল যে অবস্থা! তাতে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হয় না। ঘরের শত্রু বিভীষণ অবস্থা। দেশের অধিকাংশ জেলাতেই এরকম অবস্থা। চাঁদপুর জেলাও এর বাইরে নয়। দলের এমপি, সরকারের মন্ত্রীর সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব, বিভক্তি, বিভাজন এবং দূরত্ব খুবই প্রকট।

সারাদেশে আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দল দলটিকে বেশ বেকায়দায় ফেলছে। অথচ আর কমাস পরই নির্বাচন। এ অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত সভা ডেকেছে। উদ্দেশ্য দলীয় কোন্দল-দ্বন্দ্ব নিরসন। আগামী ৩০ জুলাই রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ, জাতীয় সংসদের দলীয় সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রগণ এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত থাকবেন।

বিশেষ এই বর্ধিত সভার নোটিশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির স্বাক্ষরে গত ২০ জুলাই প্রত্যেক জেলায় পাঠানো হয়। নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, জেলা/মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণকে সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর শাখার অধীন উল্লেখিত নেতৃবৃন্দের নামের তালিকা যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ২৬ জুলাইর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে প্রেরণ এবং বর্ধিত সভায় সকলকে সাথে নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে।