প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে চাঁদপুরের সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন বলেন, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫% উৎসব ভাতা এবং ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একাডেমিক সময়সূচি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যেও বেতন নিয়ে রয়েছে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ। মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণসহ এসব দাবিও রয়েছে আমাদের। আজ পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রয়েছে।
গতকাল ১৮ জুলাই দুপুরে তিনি চলমান মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের আন্দোলন সম্পর্কে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জেলা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষকগণ এখন ঢাকার অভিমুখে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাসের আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবেন মাধ্যমিক শিক্ষকগণ।
এছাড়া তাদের আরো অভিযোগ হলো, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেকে টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। কয়েক বছর ধরে কোনোপ্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।