রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

টেন্ডারের দেড় বছরেও নির্মিত হয়নি বাবুরহাটে গণশৌচাগার
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডস্থ বাবুরহাট-মতলব রোডে যাত্রীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু টেন্ডারের দেড় বছর পরও নির্মিত হয়নি এই গণশৌচাগারটি।

চাঁদপুরের ট্রানজিট পয়েন্ট নামে খ্যাত বাবুরহাট-মতলব রোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাফেরা করে। রাজধানী ঢাকার সাথে দূরত্ব কমানোর জন্যে চাঁদপুরের আশপাশের কয়টি জেলা বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই সড়কটি ব্যবহার করে। কিন্তু জনকীর্ণ স্থানটিতে কোনো গণশৌচাগার না থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা ও কাউন্সিলরের আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর পৌর মেয়রের অনুরোধে শিক্ষামন্ত্রীর থোক তহবিল থেকে চাঁদপুর পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি গণশৌচাগার স্থাপনের জন্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তন্মধ্যে বাবুরহাটে মতলব রোডেরটি ১টি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে ওয়ার্ক অর্ডার গ্রহণ করে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরেও কাজ শুরু করেনি বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের থোক তহবিল থেকে কাজটি প্রদান করা হয়েছে। পৌরসভার স্থানজনিত জটিলতার কারণে কাজটি করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে আমাকে জানানো হয়। বর্ষার কারণে এ বছরও কাজটি করা সম্ভব হবে না।

চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম নয়ন মিজি জানান, ১৪নং ওয়ার্ডবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়র মহোদয়ের অনুরোধে শিক্ষামন্ত্রীর তহবিল থেকে গত দেড় বছর পূর্বে বাবুরহাট-মতলব রোডে গণশৌচাগার স্থাপনের জন্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। এটি মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মতলব রোডে কসাইখানা সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের জায়গায় স্থাপনের জন্যে স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নিজের খেয়াল খুশিমত মেয়র মহোদয়কে অবহিত না করে ১৪নং ওয়ার্ডের গরু জবাইয়ের স্থানটি ভেঙ্গে সেখানে গণশৌচাগার নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। গরু জবাইয়ের স্থানটি কিছু অংশ ভাঙ্গা হলে সেখান থেকে কয়েকজন আমাকে ফোন করে অবগত করলে আমি মেয়র মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করি ও গরু জবাইয়ের স্থানটি না ভাঙ্গার জন্যে নির্দেশ প্রদান করি। পরবর্তীতে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে গরু জবাইর স্থান সংলগ্ন স্থানে গণশৌচাগার স্থাপনের জন্যে পুনরায় স্থান নির্ধারণ করে স্থানীয় ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক, যুগ্মণ্ডআহ্বায়ক ও ঠিকাদারসহ লে-আউট প্রদান করি।

এদিকে বাবুরহাট গরু জবাইয়ের স্থানটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় ও পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় সেখানে গরু জবাই করা যাচ্ছে না বলে জানা যায়। ফলে বাজারের মধ্যেই কয়েকজন গরু জবাই করে থাকেন। এতে বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা কয়েকদিন পর পর বন্ধ হয়ে যায় এবং মারাত্মক দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানান, স্থানটি সংস্কারসহ বড় করার জন্য ইতিমধ্যেই মেয়র মহোদয়কে জানানো হয়েছে, তা অতি শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়