শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৩ জুন, বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।

মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ বিলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি কানিজ বতুল চৌধুরী, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ঢালী, মতলব দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলার নেতা মোস্তফা জামান, জেলা অর্থ সম্পাদক ফয়েজুল হক ফয়েজ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, চাঁদপুর সদরের সদস্য আফরোজা আক্তার ও মতলব উত্তরের সদস্য তাফাজ্জল ইসলাম।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরাও শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করতে বদ্ধপরিকর। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস ও এসাইনমেন্ট নিয়ে কাজ করছে।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, দেশের মাধ্যমিকের অন্তত ৯৫% বেসরকারি শিক্ষকই পাঠদান করে থাকে। অতীব দুঃখের বিষয় হলো, একযোগে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে নি। আমরা আশা করেছিলাম, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সরকার এ ঘোষণা দিবে। কিন্তু তা হয়নি। আমরা শিক্ষক সমাজ প্রত্যাশা করি, সরকার শীঘ্রই পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে জাতীয়করণের পূর্বে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রচলনের দাবি মোটেই অমূলক নয়। জাতীয়করণের পূর্বে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রবর্তন করলে ভবিষ্যতে জাতীয়করণের পথ আরও সহজ হবে। আসন্ন ঈদুল আযহার পূর্বেই সরকারি চাকুরিজীবীদের নিয়মে উৎসব ভাতা প্রদান করলে পরিবার-পরিজনের অনেকটাই চাহিদা পূরণ হবে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষকরা ২০০৪ সাল থেকে ২৫% ঈদ বোনাস পেয়ে আসছে। আর কর্মচারীরা পাচ্ছে ৫০% ঈদ বোনাস।