প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলায় এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সরদারকান্দি গ্রামে। এই গ্রামের ইয়াছিন গাজী (২৮)-এর সাথে চরমাছুয়া গ্রামের আব্দুল হালিমের মেয়ে মরিয়ম (২১)-এর প্রেম ছিল। তিন বছর আগে তাদের গোপনে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতেই সংসার করছিলেন তিনি।
শনিবার ১৭ জুন রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী একজনের মাধ্যমে মরিয়মের পরিবার জানতে পারে যে, সে মারা গেছে। পরে পরিবারের লোকজন এসে মরিয়মের লাশ দেখতে পায় এবং মরিয়মের স্বামী ও শ্বশুরকে পলাতক হিসেবে পায়। খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার এসআই মিজানুর রহমান লাশের সুরতহাল করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে মরিয়মের বাবা আব্দুল হালিম জানান, পরিবারের অনুমিত ছাড়া বিয়ে করায় তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে পার্শ্ববর্তী গ্রাম হওয়ায় সকল খবরই পেতাম। স্বামী ইয়াছিন গাজী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতো মরিয়মের কাছে। টাকা দিতে না পারায় মারধর করতো। আমাদের সাথে যোগাযোগ না থাকার কারণে বিচার দিতে পারতো না, সব মুখ বুঁজে সহ্য করতো। ১৭ জুন রাত ৮ টার সময় মারা যায়। কিন্তু তারা আমাদের মরিয়মের মৃত্যুর সংবাদ জানায়নি। পরে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি, ইয়াছিন গাজী ও তার বাবা পলাতক রয়েছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তা না হলে পলাতক কেন? তাছাড়া কিছু দিন আগে গরু বিক্রি করে দিয়েছে এবং আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন ছিল।