প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে রহিমা বেগম (৪৭) নামে এক এতিম ও বিধবা নারীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। ২৩ জুন বুধবার সন্ধ্যায় ৭টায় পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদী টিজি রোডস্থ ম্যানেজার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অসহায় রহিমা বেগম চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদী টিজি রোড এলাকার ম্যানেজার বাড়ির আবুল কেরানির কোনো সন্তান না থাকায় পিতা-মাতাহীন এতিম রহিমা বেগম ওরফে রুমাকে তিনি মেয়ের মতো করে শিশুকাল থেকে লালন পালন করে বড় করেন। আবুল কেরানির মৃত্যুর আগে তার সম্পত্তির অংশ এতিম রহিমা বেগমকে দান করে যান।
এদিকে আবুল কেরানির মৃত্যুর পর রহিমা বেগমকে তার সম্পত্তি ও বসতঘর থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সম্পত্তির ওয়ারিশ দাবিদার একই বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদ বাচ্চুর ছেলে মিলন সরকার (৩৮) ও তার স্ত্রী সুরমা বেগম নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযুক্ত মিলন সরকার ও তার স্ত্রী বাড়িতে একা পেয়ে রহিমা বেগমের উপর হামলা চালায়। তারা কয়েকজন মিলে রহিমাকে বেদম মারধর করে। অসহায় রহিমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম চোখে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রাখে। তার ঘর থেকে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার তারা নিয়ে যায়।
পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রহিমা বেগম জানান, অভিযুক্ত মিলন সরকার একজন জুয়ারি এবং মাদকাসক্ত। তার অত্যাচারে তার গর্ভধারিণী মা ও আপন বড় ভাইও অতিষ্ঠ। সে জুয়া আর নেশার টাকা জোগাতে নিজের পরিবারের লোকদেরও মারধর করে। মিলন সরকারের হাত থেকে বাঁচতে এবং ন্যায় বিচার চেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এদিকে এ ঘটনায় নেশাখোর জুয়াড়ি মিলনের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় একটি চক্র তৎপর রয়েছে বলে জানা যায়।