শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০

মতলবে কেন্দ্র সচিবের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
রেদওয়ান আহমেদ জাকির ॥

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিব ও নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ অসুস্থ থাকায় এ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কেন্দ্র সচিবের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে কেন্দ্রের নামে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারদের টাকার হিসাব নিকাশ দিচ্ছেন না। তিনি জমাকৃত টাকার এক লাখ ২১ হাজার টাকা বেশি খরচ করেছেন বলে তাদেরকে জানান। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে ডিউটি করা অনেক পরীক্ষায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকদের খরচের টাকাও দেননি তিনি।

কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাক মিয়া ও নারায়ণপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মোঃ শাহাদাত হোসেনকে কোনো টাকাণ্ডপয়সা দেননি কেন্দ্র সচিব--এমন অভিযোগ তাদের। তাদের ডিউটি করা পারিশ্রমিকের টাকা চাইলে ‘কেন্দ্রের নামে ফান্ডের টাকার চেয়ে আমাদের টাকা খরচ বেশি হয়েছে, কোথা থেকে টাকা দিবো’ বলে তাদের টাকা দেননি। পরে তারা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি চলে যান।

এ ব্যাপারে একাধিক শিক্ষক বলেন, কেন্দ্র সচিব জসিম উদ্দিন আমাদের কোনো টাকা পয়সা দেননি। তিনি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ক’জন সদস্যকে হাত করে আমাদের টাকা না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া তার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক বিষয়ের পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রের নামে যে টাকা জমা ছিলো তার চেয়ে আমাদের টাকা বেশি খরচ হয়েছে, তাই ডিউটি করা শিক্ষকদের কোনো টাকা দিতে পারিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলি রেজা আশরাফি বলেন, এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়