শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনে চলছে রেজিস্ট্রি কাজ ॥ আতঙ্ক নিয়ে চলছে কার্যক্রম
এমরান হোসেন লিটন ॥

গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং সমস্যায় জর্জরিত ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। রাজস্ব আয়ের বড় উৎস এই অফিসটি অযত্ন, অবহেলা, সংস্কার ও নতুন ভবনের অভাবে একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পরিত্যক্ত ভবনটিতে আতঙ্ক নিয়েই চলছে নিয়মিত অফিসের কার্যক্রম। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও নতুন ভবনের বরাদ্দ করানো সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাছাড়া চরম ঝুঁকির মধ্যে অফিসের কাজ চললেও প্রতিনিয়তই থাকতে হয় আতঙ্কে।

দেশ স্বাধীনের আগে দ্বিতল বিশিষ্ট বর্তমান ভবনটি নির্মাণ করার পর মাঝে মধ্যে মেরামত ছাড়া বড় ধরনের কোনো কাজ করা হয়নি। অতি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড রুমে অল্প বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথিপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। কর্মকতাণ্ডকর্মচারীদের কক্ষগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দোতলায় সাব-রেজিস্ট্রারের অবস্থানের কক্ষটির ছাদে পলেস্তরা উঠে পুরানো দিনের রডগুলো বের হয়ে আছে। ভবনটিতে প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে পলেস্তরা--কখনও দলিলের উপর, কখনও আসবাবপত্রের উপর, আবার কখনও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাথার উপর। মোট কথা, এ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আতঙ্ককে সামনে রেখে দিনের কার্যক্রম অতিবাহিত করতে হয়। যে কোনো মুহূর্তে ছাদ ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

কালের আবর্তে ফরিদগঞ্জ উপজেলা একটি উন্নয়নশীল উপজেলা, যার কারণে এই উপজেলায় প্রবাসী, ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সংখ্যা একটু বেশি। তাই উপজেলাটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সে কারণে এ উপজেলায় ভূমির রদবদলও খুব বেশি হয়। কিন্তু সে তুলনায় ফরিদগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কোনো রকম উন্নয়ন হয় না।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা না থাকার কারণে অফিস চলাকালীন সময়ে অফিস সহকারী, নকলনবিশ, পিয়ন, দলিল লেখক, জমির দাতাণ্ডগ্রহীহারা গা ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হয়। এছাড়া সাব-রেজিস্ট্রারের বিশ্রাম ও বসবাসের জন্যে আবাসন ও মানসম্মত বাথরুমের কোনো সুব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এছাড়া পাঁচ লাখ মানুষের বসবাসযোগ্য ফরিদগঞ্জ উপজেলার এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আগন্তুক জমির দাতা এবং গ্রহীতাদের জন্য মানসম্মত পাবলিক টয়লেটেরও কোনো সুব্যবস্থা নেই।

বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই পুরাতন ছাদের ফুটো দিয়ে বৃষ্টি পড়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, দলিলপত্র, ভলিয়ম বই নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া অফিসটিতে দীর্ঘদিনের পুরানো জানালা, দরজা, আসবাবপত্রগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ এ অফিস ঘরে বসেই সাব রেজিস্ট্রার তার অফিসের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। দেশের প্রায় প্রতিটি সরকারি দপ্তরে ভবনের ব্যাপক উন্নয়ন করা হলেও ফরিদগঞ্জের এই প্রতিষ্ঠানটিতে কোনোরকম উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

সাব রেজিস্ট্রার মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, ভবনটি আরো আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নতুন ভবন করে দেয়ার জন্যে বলা হয়েছে এবং তাদের দিক-নির্দেশনা মোতাবেকই আমরা কাজ করবো বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়