শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০

স্ত্রীকে আগুন দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে যৌতুকের দাবিতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী আব্দুস ছালামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এ রায় দেন। আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আঃ ছালাম ৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের মৃত আয়েত আলীর ছেলে। পেশায় তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। হত্যার শিকার নাজমা একই উপজেলার একই ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের মোঃ আবু তাহেরের মেয়ে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল নাজমা ও সালামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কনে পক্ষ সালামকে ১ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিপত্র দেয়। প্রায় এক বছর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চলছিলো এবং তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর বিভিন্ন সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ক্রয় করার জন্যে নাজমার কাছ থেকে তার স্বামী ছালাম আরো যৌতুকের টাকা দাবি করে। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছালাম নাজমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪দিন পর ১৪ অক্টোবর হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর নাজমার বড় ভাই মোঃ সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাজমার স্বামী ছালামকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ছালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলাটির তদন্ত করার জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয় কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূরুল ইসলাম খানকে। তিনি তদন্ত শেষে ১০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খোরশেদ আলম শাওন জানান, মামলাটি দীর্ঘ ১৩ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন বিচারক। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোঃ শাহজাহান মিয়া।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়