প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গতকাল ২৪ জুন বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে কোভিড-১৯ রোগের ভারতীয় ডেলটা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে এবং সারাদেশে ইতিমধ্যে এ রোগের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, প্রায় ৫০টিরও বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্যান্য দেশ বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করে এ রোগের বিস্তাররোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আমরা ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন' প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
আমাদের দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেয়ার সুপারিশ করছে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যতো প্রস্তুতিই থাকুক না কেনো, স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়বে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্যে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন। এ রোগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্যে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া প্রয়োজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কোনো গণপরিবহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।