প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদী রিং জালে (চায়না জালে) সয়লাব হয়ে পড়েছে। এতে করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এসব রিং জালের ফাঁদে ছোট-বড় সকল মাছই আটকা পড়ে যায়। ৩/৪ বছর পূর্বে ডাকাতিয়া নদীতে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ ছিলো। বর্তমানে রিং জাল দিয়ে ছোট-বড় মাছ শিকার করার কারণে নদীতে আগের মতো তেমন মাছ নেই বললেই চলে। প্রতিদিন এসব জালে শিকার করা মাছগুলো ভোর ৫টায় নদী থেকে উত্তোলন করা হয়। আর সেগুলো চাঁদপুর, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার চরমেয়াশা হতে শুরু করে পাইকদী খেয়াঘাট পর্যন্ত কয়েক হাজার রিং জাল নদীতে মাছ শিকার করার জন্যে পাতা হয়। এক একজন শিকারী ১৫/২০টি পর্যন্ত জাল পেতে থাকে। গাছতলা, চরমেয়াশা, নানুপুর, হাজরা, চাঁদপুর গ্রাম, মৈশাদী, রামচন্দ্রপুর, হামানকর্দ্দী, শাহতলী ও পাইকদী গ্রামে চলে এমন মাছ শিকার। এরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে পুরো বর্ষা মৌসুমে শুধু নয়, শুষ্ক মৌসুমের ৩ মাস রিং জাল দিয়ে মাছ শিকার করে থাকে। গত বছর ডাকাতিয়া নদীতে ২/৩ বার অভিযান পরিচালনা করার পর এভাবে মাছ শিকারের প্রবণতা কিছুটা শিথিল হয়ে আসে। বর্তমানে বর্ষা শুরু না হলেও ডাকাতিয়া নদী জুড়ে ভোর রাত থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত রিং জাল ও নৌকাগুলো নদীতে সয়লাব হয়ে থাকতে দেখা যায়। চাঁদপুরের মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিবো।