শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩, ০০:০০

পদ্মা-মেঘনায় ৫০ বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ : আটক শতাধিক

পদ্মা-মেঘনায় ৫০ বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ : আটক শতাধিক
মিজানুর রহমান ॥

মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর এলাকায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ ও এসব নৌযানের সাথে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের ৫টি টিম পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এসব বাল্কহেড জব্দ করে। নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ফরিদ হোসেন নামে এমভি ওয়াটার হেন-৫-এর সুকানি জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতিরাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে। কিন্তু বালু বহনের জন্যে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।

বাল্কডেহ থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা কাজ করি শ্রমিক হিসেবে। বালু বহনের বৈধতার বিষয়ে মালিকদের সাথে চুক্তি হয়। ড্রেজারগুলো বন্ধ করে দিলে আমাদের বহনের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।

দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কডেহগুলোতে থাকা লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং কাগজপত্র দেখেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এ সময় চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নৌ পথ নিরাপদ রাখার জন্যেই আমরা কাজ করি। আমাদের টহল বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু কেটে যাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে আসছিলাম। চলতি বছরের ৫ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। তারই ধারবাহিকতায় আজকের এই বড় ধরনের অভিযান।

তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান ছিলো ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ রাতের আঁধারে আমরা বালু কাটতে দেই না। তারপরেও চুরি করে যারা কাটে তারা যেন পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্যে আমাদের চেকপোস্ট ছিল পদ্মা এবং মেঘনা নদীর মোহনায়। নিবন্ধন ছাড়া বাল্কহেড জব্দ করা হয়। আমরা যে ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করেছি এগুলোর প্রত্যেকটি পদ্মা নদীর কোনো না কোনো স্থান থেকে উত্তোলন করা বালু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঠালবাড়ি এলাকায় যারা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের কোনো বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই। জব্দকৃত বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়