প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০
![শহীদ জিয়া বাংলাদেশের একটি ইতিহাসের নাম](/assets/news_photos/2023/05/31/image-33696.jpg)
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী চাঁদপুরে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৩০ মে মঙ্গলবার বাদ আসর চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের পক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিম।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুনির চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সেলিমুছ সালাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জহির উদ্দিন বাবর, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডঃ জাকির হোসেন ফয়সাল, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আঃ কাদির বেপারী প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস আলম বাবু, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, হাজী মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ শামসুল ইসলাম মন্টু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলী আহমদ সরকার, ডিএম শাহজাহান, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ নুরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, কৃষক দল জেলা সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তাঁতীদলের মজিবুর রহমান লিটন, মৎস্যজীবী দলের জেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জাকির মৃধা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারীসহ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী দলের জেলা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনরি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন আমাদের প্রিয় নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাংলাদেশকে স্বনির্ভর ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বাকশাল হিসেবেই জানতো। শহীদ জিয়ার উদারতায় সেদিন শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পেরেছেন। তাই শহীদ জিয়া বাংলাদেশের একটি ইতিহাসের নাম।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এবার শহীদ জিয়ার মৃত্যুবাষিকীতে দলীয় নেতা-কর্মীদের শপথ নিতে হবে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে একদফার আন্দোলন বাস্তবায়ন করে দেশে শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্য বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বিএনপি। এ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করা হবে। সেজন্যে আগামী আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, যতোদিন পর্যন্ত বাংলার মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি উচ্চারিত হবে, ততোদিন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের একজন কর্মী বেঁচে থাকতেও বিএনপিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
আলোচনা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী।