প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
![বাঙালি সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে বাংলা নববর্ষ](/assets/news_photos/2023/04/18/image-32030.jpg)
শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রতিষ্ঠান সংগীত নিকেতন, চাঁদপুর ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করেছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে চাঁদপুর শহরস্থ কোড়ালিয়া রোডে সংগীত নিকেতনের চন্দ্রকান্ত মিলনায়তনের সম্মুখস্থ উন্মুক্ত সবুজ মুক্তাঙ্গনে প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের মাধ্যমে বরণ করেন ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে। প্রতিষ্ঠানের শিল্পী, কলাকুশলী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকসহ সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণায় অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত হয়ে উঠে। সংগঠনের নবীন, প্রবীণের পরিবেশিত রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল গীতিসহ পঞ্চকবির গান, লালনগীতি, ভাটিয়ালি, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল প্রাণের মিলনমেলায় রূপ নেয়। উপস্থিত সকলেই প্রাণভরে উপভোগ করেন সংগীত নিকেতনের বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান চলাকালীন উপস্থিত হন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি কিছুটা সময় উপভোগ করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় তিনি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে বাংলা নববর্ষ। এদিনটিতে আমরা অনেকেই খুঁজে পাই আমাদের বাঙালিয়ানা মনোভাবকে। দিনটিকে বরণ করতে আমরা আয়োজন করি নানা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। এ দিনটিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় লোকজ মেলার। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি আমরা সকলেই উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে থাকি। বাঙালির গৌরবময় যত উৎসব রয়েছে তার মধ্যে বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রাও একটি। যা ইউনস্কো কর্তৃক স্বীকৃত এবং যা বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে মিশে রয়েছে। তিনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাসও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব স্বপন সেনগুপ্ত। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মদ।
অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্ত ও শিক্ষক বীণা মজুমদারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং শিক্ষক বিমল দের সঞ্চালনায় সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত নিকেতনের প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী শান্তি রক্ষিত, শংকর আচার্য, রিয়া চক্রবর্তী, কণিকা মিত্র ও পূরবী দে। আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন পূজা পাল, রুদ্রনীল দাস, প্রাচী অংকিতা পাল, ঐশী দাস, নবনীতা রায় চৌধুরী, মৌমিতা সাহা, অপরাজিতা মজুমদার, নবনীতা সেন, সুমেধা পোদ্দার, অবন্তী চক্রবর্তী, রুপাঞ্জনা সাহা, অহনা মিত্র, প্রত্যাশা কর্মকার, তনয় দাস, মিতু মণ্ডল, উষসী শীল, প্রজ্ঞা পাল প্রমুখ। নৃত্য শিক্ষক আভা শংকর অপুর পরিবেশনায় নৃত্য পরিবেশন করেন কাব্য কণিকা ঘোষ, অপূর্ণ দত্ত রিচি ও তম্বী। তবলের মহড়া দেন বিবেক মজুমদার, সৌভিক পাল, রঙ্গন পাল, সৌমেন পাল, তাপস রায় ও রুপম দে। সংগীত পরিচালনা করেন শিক্ষক বিচিত্রা সাহা ও রিয়া চক্রবর্তী। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন শান্তি রক্ষিত ও দীপক চক্রবর্তী। চিত্রাঙ্কন বিভাগের অমল সেনগুপ্ত, বিমল দে ও পলাশ সেনগুপ্তের আন্তরিকতায় অনুষ্ঠান মঞ্চের সৌন্দর্য ফুটে উঠে। সকল আয়োজনেই উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হয়।