প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

তৃপ্তি সাহা চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। ১৯৮০-৮১ সেশনে তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে পড়ালেখা ও পেশাগত জীবনের নানা ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর লাইব্রেরি উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক।
সদা হাস্যোজ্জ্বল নিখাদ বইপ্রেমী তৃপ্তি সাহা একজন লেখক। তাঁর লেখা প্রথম বই ‘জীবনের গান’, যা ২০২০ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়। তিনি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখি করেন। ‘চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি’ শীর্ষক দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আজ তাঁর কথা তুলে ধরা হলো। যেখানে তিনি শিক্ষাজীবনসহ স্বাধীনতোত্তর যাপিত জীবনের নানা স্মৃতি সবিস্তারে উপস্থাপন করেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সম্পর্কে জানতে চাই।
তৃপ্তি সাহা : আমার জন্ম রাজশাহীর মিশন হাসপাতালে। থাকতাম আড়ানীতে আলোকিত মানুষ পালান সরকারের এলাকায়। বেড়ে ওঠা এই প্রিয় চাঁদপুরের মাটিতে। কী অপরূপ ছিলো চাঁদপুর। বাংলার পূর্ণ সৌন্দর্য-নদী, খাল-বিল, পুকুর আর নারিকেল গাছের গাঢ় সবুজ রঙিন পাতায়। সূর্যের কিরণ যখন পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে নিজেকে সঁপে দেয়, কী সুন্দর আলোর মেলা সেখানে। ঝিকমিক করে ইলিশ, যখন জেলের জালে ধরা পড়ে। কী মায়াবী আলোর খেলা মাছ আর মাঝির চোখে।
১৯৬৮ সাল। তখনও স্বাধীন হয়নি আমার বাংলাদেশ। আমরা চোখের আলোর রোশনিতে বাঁচি। কারণ বাংলার সুজলা-সুফলা পরম্পরাগত যে সৌন্দর্য, মাটির উর্বরতা, আমাদের সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে দাবায়ে রাখতে পারেনি অন্য কোনো অপশক্তি। ১৯৬৯ থেকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে দফায় দফায় আন্দোলন, বিক্ষোভে চারিদিক টালমাটাল। মনের গান, বঙ্গবন্ধুর ডাক। তরুণপ্রাণ ঘরের ডাক ভুলে ছুটে যায় ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যানবাহনের অপ্রতুলতা, যোগাযোগের সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে যে যেভাবে পারলো ছুটে গেছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে, কবির কবিতাখানা শুনতে। কোটি মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু অলিখিত ভাষণে ডাক দিয়ে গেলেন স্বাধীনতার, গেয়ে গেলেন মুক্তির গান, রেখে গেলেন পথনির্দেশনা।
১৬ ডিসেম্বর। একদিকে বিজয় মিছিল রাস্তায়, অন্যদিকে ঘরে ঘরে হারানোর বেদনা। কতটা হারিয়ে এ বিজয় মিছিল সে হিসাব। কান্না-বেদনা নিয়ে বাংলাদেশের পথচলা শুরু। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে এলেন বাংলায়। সব কান্না এক বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু সবার আশ্রয়স্থল।
অটোপ্রমোশন পেয়ে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আবার ক্লাস শুরু করলাম। আমরা ক্লাস ওয়ানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সাদা-নীল স্কুল ড্রেস, কানের দু পাশে বুকের উপর বেণী দুলিয়ে নিত্য স্কুলে আসা-যাওয়া। দেশ গড়ার শপথবাক্য পাঠ, পিটি, জাতীয় সংগীত দিয়ে স্কুল শুরু। সাপ্তাহিক রুটিনে সেলাই, বইপড়া, খেলাধুলাসহ পাঠক্রমের ভিত্তিতে ক্লাস। দারুণ একটা সময় কাটিয়েছি আমরা।
কচি-কাঁচা, গার্লস্ গাইড, সংগীত নিকেতন, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সবার প্রতি সবার বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, স্নেহ, ভালোবাসায় আমরা ঋদ্ধ হচ্ছিলাম ভেতর থেকে। সংগীত নিকেতন থেকে বনভোজন, স্কুল থেকে বনভোজন। মা-বাবারা শিক্ষকদের সাথে ছেড়ে দিতে চিন্তিত হতেন না। পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে ছিলো দারুণ সখ্যতা।
চাঁদপুরের সবচেয়ে ভালো লাগার যে বিষয়টি আজও নিজেকে উদ্বেলিত করে, নদীর সাথে প্রত্যেকটি খাল-বিল, প্রত্যেকটি পুকুরের সাথে নদীর সংযোগ। জোয়ারে আমাদের প্রত্যেকটি পুকুরসহ লেকের পানি নতুন পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যেতো। আবার ভাটায় কমে যেতো। মানুষগুলো ছিলো সহজ-সরল আর সৃজনশীল।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কত সালে, কোন্ শ্রেণিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন?
তৃপ্তি সাহা : মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একনাগাড়ে ১০ বছর কাটিয়ে ১৯৮০-৮১ সেশনে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হই। ১৯৮০ সালে কলেজটি সরকারিকরণ হয়। ফলে সরকারি স্কুল শেষ করে সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবো সেটাই পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়। হলামও তাই। যদিও প্রেমঘটিত বিষয়ে একটু জটিলতা তৈরি হয়েছিলো। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো জীবন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সে সময় কলেজের পরিবেশ কেমন ছিলো?
তৃপ্তি সাহা : কলেজের পরিবেশ ছিলো এক কথায় অসাধারণ। আশির দশকের শুরুর কথা। বাংলাদেশের পট পরিবর্তন হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনার বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। আমাদের সংস্কৃতির যে শক্ত আঁটসাঁট গড়ন ছিলো তার গোড়া নরম হয়ে গেলো। সামাজিক বন্ধন, দায়বদ্ধতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, শ্রদ্ধাবোধ থেকে আমরা সরে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদেরকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে দিচ্ছিলো বারেবারে। ছোটবেলার দেখা সেই সুফিয়া কামাল, দাদাভাই বা যদি এভাবে বলি, কচি-কাঁচার মেলার মাধ্যমে আমরা যে ব্রতচারী শিক্ষাটা পাচ্ছিলাম, যে শিক্ষার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমস্ত অর্জনকে শাণিত করেছেন, সেই শিক্ষা থেকে আমরা সরে আসছিলাম। ঝিমিয়ে পড়ছিলো সকল কাজের আদর্শ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক এবং সহপাঠী ছিলেন কারা? তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।
তৃপ্তি সাহা : চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াবস্থায় বাংলায় সাত্তার স্যারকে পেয়েছিলাম। মুহাম্মদ খলিলুর রহমান (২) স্যারের বাংলা পড়ানো ছিলো অসাধারণ। রসায়নের নলিনী স্যার, গণিতের রণজিৎ নাহা, উদ্ভিদবিদ্যার তাজুল ইসলাম স্যার, প্রাণিবিদ্যার মোস্তাক স্যার, বজলুল হক স্যার, পদার্থবিজ্ঞানের ইসহাক স্যার আমার ভীষণ প্রিয় ছিলেন। চোখে লেগে আছে পদার্থবিজ্ঞানের হাসান হায়দার স্যারের চেহারা। স্যার আমাদের বান্ধবী লিপির বাবা। স্যারের আধুনিকতা, সহজ-সরল জীবনবোধ, এতো স্বচ্ছতা, স্মার্টনেস সত্যিই ভোলা যায় না। স্যারদের আন্তরিকতার কথা খুব মনে পড়ে।
আমরা স্যারদের পেছন পেছন ক্লাসে যেতাম, আবার স্যারদের পেছন পেছন ক্লাস থেকে বেরিয়ে কমনরুমে অথবা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতাম। তখন গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা ছিলেন মান্নান স্যার। সাহায্যকারী ছিলেন সবার পরিচিতমুখ রতন দা ওরফে মিজানুর রহমান।
আমরা অনেকেই গ্রন্থাগারে গিয়ে বই পড়তাম। শহীদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তক আমরা চাঁদপুর কলেজ লাইব্রেরিতে পড়েছি। আমার সবচেয়ে প্রিয় কাছের বান্ধবী তাসলিমা খুব দ্রুত বই পড়তো। সে এখন অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম। সে অসাধারণ সব বইয়ের মধ্যেই মুখ লুকিয়ে রাখতো। বন্ধু ছিলো বর্তমান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত, শ্যামল, ফিরোজা বেগম, পাকিজা, জিনুন্নাহারসহ অনেকে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজ জীবনের উল্লেখযোগ্য কোনো সুখের এবং দুঃখের স্মৃতির কথা জানতে চাই, যা আজও আপনার মনে পড়ে।
তৃপ্তি সাহা : মনে রাখতে হবে, ১৯৮০ সালে চাঁদপুর কলেজ সরকারিকরণ হয়। ফলে আমরা মেয়েরা সংখ্যায় খুব কম ছিলাম। ছেলে প্রচুর ছিলো। তিনটা সেকশন ছিলো। কলেজের কথা মনে হলেই মনে পড়ে, কলেজের রাস্তার দিকে যে মাঠ সেটিকে পেছনের দিক বলাটাই শ্রেয়। সেখানে একটি তুঁতগাছ ছিলো। তুঁত ফল ধরে থাকতো। সেখানটাতে আমরা মেয়েরা ক্লাসের ফাঁকে শীতের রোদে দাঁড়াতাম। তুঁতফল খেতাম। ছেলেরা সেই টক খাওয়া নিয়ে অনেক বাজে হাসি-ঠাট্টা করতো। অনেক স্যার ছিলেন। সব মুখ হয়তো মনে নেই। এবিএম ওয়ালিউল্লাহ স্যারের কথা খুব মনে পড়ে। এতো সহজ করে ইংরেজি পড়াতেন, ক্লাস এতোটাই প্রাণবন্ত করে রাখতেন। তিনি এতো বড় ছেলে-মেয়েদের শাস্তি দিতেন। এমনকি বেঞ্চে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। কিন্তু তাঁর ক্লাস ভালো লাগেনি এ কথা কেউ বলবে না। একবার এক ছাত্র আঙ্গুলে তিনটা আংটি পরে এলো, পড়া পারেনি অথবা বই আনেনি। নিয়ম ছিলো বই আনতেই হবে। স্যার বেঞ্চের উপর দাঁড় করালো। আঙ্গুলে আংটি দেখে বললো, ‘আমার মেয়েরা তোমারে বিয়া করবো না’। এভাবেই কোনো মেয়ে হয়তো কড়া লিপিস্টিক দিয়ে বারান্দা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, মেয়েটি সুন্দরীও ছিলো অসামান্য। এমন বিদ্রƒপ করলেন যে, আমরা তাজ্জব বনে গেলাম।
উদ্ভিদবিদ্যার তাজুল ইসলাম স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশে যেতেন। ভাবতেন, ছেলে-মেয়েরা বুঝতে পারছে না। তাই বারবার বোঝাতেন। ইকোনোমিকসের মশিউর স্যারের কথ খুব মনে পড়ে। কোনো শিক্ষার্থী কোথায় ভর্তি হবে সেগুলো বারান্দায় চেয়ার নিয়ে বসে ডেকে নিয়ে বলতেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজে পড়াবস্থায় নিজেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখতেন?
তৃপ্তি সাহা : বাংলার প্রতি দুর্বলতা ছিলো আমার। সে সময়ে মেয়েরা শিক্ষকতা করবে এটিই ছিলো বাস্তবতা। স্বপ্ন দেখাটা সেভাবেই হয়েছে। আমরা খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে ছিলাম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ক্লাস এবং আড্ডাবাজির স্মৃতি সম্পর্কে কিছু বলুন।
তৃপ্তি সাহা : বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণ করার কথা মনে পড়ে। আমাদের সাথে পড়তো ১০৩৪ রোল নম্বরের শাহানাজ। ওর কথা মনে পড়ে। ওকে নিয়ে হৈচৈ ছিলো খুব। রোল নম্বর থাকে খাতায়, কিন্তু ওর রোল নম্বর দেয়ালে লেখা থাকতো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ৭৫ বছরপূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
তৃপ্তি সাহা : ৭৫ বছরপূর্তিতে ভরে উঠুক প্রাণের বিদ্যাপীঠ। পুরাতন-নতুন শিক্ষার্থী সকলের প্রাণের বন্ধন অটুট হবে। নতুনরা পুরাতনের গল্প শুনবে, শুধু একটু ইচ্ছেশক্তি দিয়ে কতদূর পৌঁছানো যায়, সততার কত প্রয়োজন ওরা জানুক। অভাব কাউকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। প্রবীণরা নবীনদের স্বপ্নপূরণের পথে পাথেয় হবেন। সার্থক হোক। সফল হোক। আমি চাইবো স্মৃতিচারণ পর্বটি যেনো থাকে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেনো সেরা?
তৃপ্তি সাহা : চাঁদপুর কলেজে পড়া দারুণ সৌভাগ্যের বিষয়। আমাদের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো না। অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার ভাইভা দিতে গেলে যখন শুনতো চাঁদপুর কলেজের শিক্ষার্থী, তখন ভাইভা বোর্ডের সকলের চোখে-মুখে উজ্জ্বলতা ফুটে উঠতো। অনেক নামীদামী ব্যক্তিত্ব এই কলেজের শিক্ষার্থী।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/স্বপ্ন কী?
তৃপ্তি সাহা : কলেজটি নিয়ে আমার স্বপ্ন/প্রত্যাশা-পুরানো ঐতিহ্যকে ধরে নতুনের স্বপ্ন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাক আরো বেশি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজ জীবনের উল্লেখযোগ্য অর্জন কী?
তৃপ্তি সাহা : শিক্ষাজীবন আমাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে দিয়েছে। যদিও চলার পথ সহজ ছিলো না। বর্তমানে আমি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)তে লাইব্রেরি উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কোন্ কোন্ সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন?
তৃপ্তি সাহা : সংগীত নিকেতনের সাথে জড়িত ছিলাম। বইপড়া কার্যক্রমে পাঠাগারের সাথে জড়িত ছিলাম। বিজ্ঞান মেলায় জড়িত ছিলাম।
চাঁদপুর কণ্ঠ : নতুনদের উদ্দেশ্য কিছু বলুন।
তৃপ্তি সাহা : নতুনরা শুধু পড়ালেখা নয়, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে মানবিক মানুষ হয়ে উঠবে-এটি খুব চাওয়া।
চাঁদপুর কণ্ঠ : উল্লেখিত প্রশ্নের বাইরে আপনার কোনো কথা থাকলে বলুন।
তৃপ্তি সাহা : আমি মেলবন্ধনের মানুষ। পুরাতনের সাথে নতুনের মেলবন্ধন। পুনর্মিলনগুলো যেনো সেই আবহাওয়া ধরে রাখে। আমাদের যা কিছু অতীত-ঐতিহ্য তা থেকে যেনো সরে না যাই, তাই বন্ধন অটুট থাকুক, ভালোবাসায় থাকুক।