প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের স্কুল ছাত্র মেহেদী হাসান হত্যার ২৬দিন অতিবাহিত হলেও মামলার কোনো কুল কিনারা হচ্ছে না। এ নিয়ে নিহতের পরিবার হতাশায় ভুগছেন। জানা যায়, কোমরে পরার প্যান্টের বেল্টকে কেন্দ্র করে গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মেহেদী হাসানকে তার বন্ধু বরকত খুন করে। ঘটনার পর পর এলাকাবাসী বরকতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মেহেদী হাসান হত্যার ঘটনায় তার পিতা হেলাল বেপারী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। হত্যার ২৬দিন অতিবাহিত হলেও বাকি ২ আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি।
গত বুধবার নিহত মেহেদী হাসানের বাড়িতে গেলে তার পিতা হেলাল বেপারী বলেন, আমি আমার ছেলের হত্যাকারী ঘাতক বরকতসহ আরো ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। বাকি ২ জন আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি। আমরা মামলা সম্পর্কে কিছু বুঝি না, দারোগা স্যার যেভাবে বলেন সেভাবেই বুঝে আসি। আসামি পক্ষের টাকাণ্ডপয়সা আছে। তারা টাকা দিয়ে সব কিছু ঠিক করে ফেলবে। আমি কাঁচা তরকারি বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালাই। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
নিহত মেহেদী হাসানের মাতা রুনা বেগম বলেন, আমার বুকের ধন হত্যার এক মাসের কাছাকাছি হলেও বাকি আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমি শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকার ক’জন লোক জানান, ঘাতক বরকত এ বয়সে খুন করতে দ্বিধা বোধ করে না, বড় হলে কী না করবে। আমরা মেহেদী হাসান হত্যার বিচার চাই।
একটি সূত্র জানায়, বরকত মেহেদীকে একা খুন করা সম্ভব নয়। তার সাথে আরো খুনি জড়িত আছে। এখানে একটা চক্র খুনিদের পক্ষে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবির বলেন, ঘাতক বরকত জেল হাজতে রয়েছে। তার রিমান্ড চেয়েছি। একজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়েছে।