প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন ওয়াপদা খালের ওপর মাত্র ৪০ মিটারের ছোট একটি ব্রিজের অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের। এলাকাবাসীর প্রয়োজনে স্থানীয়দের অর্থায়নে নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো এখন তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। নড়বড়ে সাঁকোটিতে প্রতিদিন যাতায়াত করছে শিক্ষার্থী, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এই সাঁকোটি খালের পশ্চিম পাড়ের গুপ্টি পূর্ব, গুপ্টি পশ্চিম, হামছাপুর, বৈচাতরী গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। তাই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই সাঁকো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের গুপ্টি আবু বকর (রাঃ) মাদ্রাসা, বৈচাতরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গল্লাক নোয়াব আলী উচ্চ বিদ্যালয়, গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজসহ বেশ ক’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
এছাড়াও প্রতিদিন যাতায়াত করছেন কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত ৪ হাজার মানুষ। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থা একেবারে নড়বড়ে। সাঁকোর বেশ কিছু স্থানেই খুলে গেছে কাঠের পাঠাতন। এতে যাতায়াতের সময় প্রায় সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় গুপ্টি গ্রামের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুল ইসলাম জানান, আমাদের প্রতিদিন সাঁকো পার হতে ভয় করে, কেন না কখন যে সাঁকো থেকে পড়ে যাই। স্থানীয় গুপ্টি বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ মোবারক হোসেন জানান, একটি সেতুর অভাবে চার গ্রামের অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী মায়েদের চলাফেরা ও কৃষকের ফসল ঘরে তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়াও সেতু না থাকায় কোনো অটো বা সিএনজি এখানে আসতে চায় না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। বিশেষ করে সেতুর অভাবে ৫ কিলোমিটার দূরের সড়ক ব্যবহার করতে হয় তাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ জানান, এখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।