রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

হাজী মোঃ কাউছ মিয়া এবারও বাংলাদেশের সেরা করদাতা
স্টাফ রিপোর্টার ॥

এবারও সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান পুরাণ ঢাকার প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজী মোঃ কাউছ মিয়া। তিনি হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী। ২০২১-২২ করবর্ষে ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ শ্রেণিতে এই ব্যবসায়ী সেরা করদাতার ১ নম্বর মনোনীত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত সরকারি গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। এ মাসেই সেরা করদাতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড দেবে এনবিআর। আগের কয়েক বছর অবশ্য তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এমনকি গত বছর মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাঁকে এই সম্মাননা দিয়েছিল।

মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও এনবিআরের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে করবাহাদুরের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের সময় শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে কাউছ মিয়া ২০ বার দেশসেরা করদাতার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা লাভের অনন্য মাইলফলক ছুঁয়েছেন। দেশের রাজস্ব খাতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছর পর্যন্ত টানা দেশসেরা করদাতা হবার এই সাফল্য অর্জন করেন তিনি।

২০০৮ সাল থেকে কাউছ মিয়া দেশে ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন। গত ৬৪ বছর যাবত কর দিয়ে আসছেন তিনি। প্রথম কর দেন ১৯৫৮ সালে।

চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা জেলা) ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কাউছ মিয়া। তাঁর বাবার নাম মরহুম হাজী আব্বাস আলী মিয়া ও মাতা মরহুমা হাজী মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (জমিদার কন্যা)।

বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরাণবাজারে স্টেশনারি ব্যবসা শুরু করেন । দেশের প্রসিদ্ধ এই ব্যবসায়িক এলাকায় তৎকালীন সময়ে তাঁর ৬ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।

পরে ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট হয়ে যান। একটানা ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন। ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে যান এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৩ বছর। দেশের প্রবীণ এই ব্যবসায়ী শীর্ষ করদাতা টানা রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। একজন নিঃস্বার্থ সমাজসেবী ও দানবীর হিসেবে সারাদেশে কাউছ মিয়ার বেশ সুনাম। তিনি আট জমিদারের নাতি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়