প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরের দু’জন এডিসিসহ প্রশাসনের চার কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের কারো কারো স্ত্রী-সন্তানরাও করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁদের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারপরও জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ অদম্য সাহসিকতার সাথে তাঁর সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আমরা হার মানবো না, আমরা হারতে শিখিনি। আমরা সকলে মিলে করোনা পরিস্থিতি সামলে উঠবো ইনশাল্লাহ। গতকাল শনিবার ‘জেলা প্রশাসক চাঁদপুর’ নামে ফেসবুক পেইজে দেয়া পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমরা হার মানবো না, আমরা হারতে শিখিনি, আমরা সকলে মিলে করোনা পরিস্থিতি সামলে উঠবো ইনশাআল্লাহ।
আমাদের চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর স্ত্রী, সন্তানসহ করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল মোর্শেদ ও দেবযানী কর করোনা আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ মুহূর্তে চাঁদপুর জেলায় কোন ডিডিএলজি নেই, সিনিয়র অফিসারের মধ্যে আছেন নতুন যোগদানকারী একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। বাকি যে ক’জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন তাঁরা সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, পুলিশকে সাথে নিয়ে রাত-দিন চাঁদপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট করে যাচ্ছেন। এরমধ্যে আছে অফিসের রেগুলার কাজ (রিপোর্ট রিটার্ন, বিভিন্ন মিটিং আয়োজন, তদন্ত.....) ত্রাণ বিতরণ। আমার এই ক্লান্তিহীন যোদ্ধারা যাতে হতাশ না হয়, ভেঙে না পড়ে, যাতে নতুন উদ্যমে কাজ করে যেতে পারে সেজন্যে মাঠে উপস্থিত হয়ে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছি আমি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। আমি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে মাঠে সহযোগিতার জন্যে গঠন করেছি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। সেইসাথে মাঠে রেখেছি স্কাউটস্, রোভার ও বিএনসিসি। আমরা হারবো না, আমরা হারতে শিখিনি। ইনশাআল্লাহ্ চাঁদপুরে করোনাকালীন এই দুর্যোগ আমরা কাটিয়ে উঠবো। শুধু চাঁদপুরবাসীর নিকট আমাদের অনুরোধ ‘আমরা আপনাদের জন্য কাজ করছি, আপনারা আমাদের প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন, দয়া করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’