বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |  
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা পেয়ে রোগীরা খুশি
এমরান হোসেন লিটন ॥

দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর স্বাস্থ্যসেবা গ্রাম পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বাস্থ্য সেবাদানকারীরা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করছেন। তারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিরা এই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র পরিচালনায় অংশ নিচ্ছেন।

বর্তমানে দেশে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন কাজ করছে।

পল্লী এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এমনই অবদান রাখছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিক। ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার সরেজমিনে এই কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য সেবাদানকারী মোসাঃ সামছুনাহার এক এক করে সিরিয়ালে রোগী দেখছেন, ওষুধ দিচ্ছেন এবং জটিল ও কঠিন রোগীদের

বিভিন্নরকম পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা বলছেন।

রোগী দেখার এক ফাঁকে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সামছুনাহারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এলাকার নোয়াব আলী ভূঁইয়া ও মনোয়ারা বেগম ২০২১ সালে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে সম্পত্তি দান করেন এবং সে বছরই কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তার কার্যক্রম শুরু হয়।

সামছুনাহার বলেন, এই কমিউনিটি ক্লিনিকটিতে তাকে দিয়েই চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। তিনি বলেন, এই কমিউনিটি ক্লিনিকে জ্বর, সর্দি-কাশি, পাতলা পায়খানা এবং গর্ভপাতজনিত নারীদের পিএনসি সেবা, নবজাত শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ আরো কিছু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং জটিল ও কঠিন রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এ কমিউনিটি ক্লিনিকে দৈনিক তিনি ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করে থাকেন। তিনি আরো বলেন, অ্যালার্জিজনিত ঔষধের চাহিদা বেশি। তাই এর সাপ্লাই বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমাদের চাকরিটা রাজস্ব খাতে নিলে আমরা এই কাজে আরো বেশি উৎসাহিত হতে পারতাম। এছাড়া সেই প্রথম যে বেতন ধরা হয়েছে আমরা এখনো সেই বেতনে কাজ করছি। তাই বেতন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (৮০), দাতা সদস্য মোতালেব ভূঁইয়া (৬৫), আব্দুল লতিফ (৭৭), মাজেদ (৭০), মনির (৫০) ও ফজিলত (৬০) জানান, এই কমিউনিটি ক্লিনিকটি এখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে আমরা বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের ঔষধ নিয়ে উপকার পাচ্ছি। আমাদের পল্লী এলাকার অসহায় মানুষদের ব্যাপক উপকার করে যাচ্ছে এই কমিউনিটি ক্লিনিক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়