প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
জুয়েল রানা তালুকদার হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সনে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। চাঁদপুর সরকারি কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে চাঁদপুর ল’ কলেজে এলএলবিতে অধ্যয়নরত আছেন। ছাত্ররাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত জুয়েল রানা তালুকদার ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের হাত ধরে রাজনীতি করছেন। তিনি একাধারে উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয়তাবাদী পরিবারে বেড়ে ওঠা জুয়েল রানা তালুকদারের পিতা আবু তাহের তালুকদারেরর অনুপ্রেরণায় তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। চার ভাইয়ের মধ্যে সবাই জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপির রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। জুয়েল রানা তালুকদার ‘স্লোগান মাস্টার’ হিসেবে তৃণমূল ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘রাজনৈতিক ভাবনা’ নামক ধারাবাহিক পর্বে জুয়েল রানা তালুকদার তার মনের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এজন্যে কী কী করতে হয়?
জুয়েল রানা তালুকদার : দলের নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতারাই মূলত মনোনয়ন পেয়ে থাকে। মনোনয়ন পাওয়ার জন্যে তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং কর্মীবান্ধব নেতা হতে হবে। নির্বাচনী এলাকার ব্যক্তি ইমেজও একটা বড় বিষয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা? এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার হেতু কী?
জুয়েল রানা তালুকদার : বৃহত্তর রাজনৈতিক দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকবেই। পদণ্ডপদবীর ক্ষেত্রে একই পদে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো একাধিক ব্যক্তি থাকে, কিন্তু সবাইকে তো একই পদে পদায়ন করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কিছু কোন্দল সৃষ্টি হয়। দলীয় বিভিন্ন প্রকার নির্বাচন এবং নিজস্ব বলয় তৈরি করতে কেউ কেউ এই কোন্দল তৈরি করার চেষ্টা করে থাকে।
কেন্দ্রীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে চাইলেও কিছু ক্ষেত্রে জেলার সাথে উপজেলা/থানা পর্যায়ের সমন্বয়হীনতা লক্ষণীয়। তাহলে হুংকার কীভাবে কাজ দিবে?
চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা সাধারণ বর্ধিত সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়। অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?
জুয়েল রানা তালুকদার : ব্যবস্থাগ্রহণের চেষ্টা থাকলেও কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে সবকিছু আমলে নেয়া সম্ভব হয় না বলে আমার ধারণা, তাই দলীয় কোন্দল বৃদ্ধি পায়। তবে তৃণমূলের বর্ধিত সভায় উপস্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে কাজ করলে দল নিঃসন্দেহে উপকৃত হবে। কারণ তৃণমূলের কর্মীরাই দলের প্রাণ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু? আপনি কি মনে করেন আপনার দলে উক্ত চর্চা ও মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?
জুয়েল রানা তালুকদার : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চাই হচ্ছে প্রধান কাজ, আর দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে চলা আবশ্যিক। রাজনৈতিক প্রত্যেক নেতা-কর্মী তার নিজ দলের আদর্শ ও গঠনতন্ত্র মেনে চলা দায়িত্ব ও কর্তব্য। আদর্শহীন ব্যক্তি এবং দলের গঠনতন্ত্র তোয়াক্কা না করা একটি দলের জন্য বিপজ্জনক। আমি জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসী একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমার সমর্থিত দলের দলীয় আদর্শ মেনেই দলের গঠনতন্ত্র মেনে চলা হচ্ছে। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং তাঁর সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপসহীন, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যেটা অবশ্যই আমার মত একজন জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী কর্মীর জন্য গর্ব ও গৌরবের বিষয়।