প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
মোহাম্মদ রসু মিয়া। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। দেখতে দেখতে রাজনীতিতে ৩টি দশক পার করে ফেলেছেন। সব সময় হাসি-খুশি থাকা এই মানুষটি সবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেন। ব্যবসায়িক কারণে অধিকাংশ সময় রাজধানী শহর ঢাকায় থাকতে হয়। তারপরও নাড়ীর টানে রাজনৈতিক কারণে প্রায় সময়ই ফরিদগঞ্জ চলে আসেন। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। রসু মিয়া রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মোহাম্মদ রসু মিয়া এ পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য এবং ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফোরামের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহাম্মদ রসু মিয়া পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলাপচারিতায় তার ভাবনা তুলে ধরা হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এ জন্যে কী কী করতে হয়?
মোহাম্মদ রসু মিয়া : দলের জন্য যারা ত্যাগ, শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করেন তাদেরই মূলত মনোনয়ন দেয়া হয়। মনোনয়ন পেতে দলের জন্যে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে হয়। দলের সুখে ও দুঃখে নিবেদিত হতে হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা?
মোহাম্মদ রসু মিয়া : স্থানীয় পর্যায়ে কর্মীদেরকে মূল্যায়ন না করে হাইব্রীড ও নবীনদের দলে মূল্যায়ন ও পদায়িত করার কারণেই অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার কারণ কী?
মোহাম্মদ রসু মিয়া : দলীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার কারণেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার কাগজে কলমে থেকে যায়, তা বাস্তবায়ন হয় না।
চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা সাধারণ বর্ধিত সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়। অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?
মোহাম্মদ রসু মিয়া : না, তার কখনো প্রতিফলন হয় না। এটা ওই সভাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। এগুলো বাস্তবায়ন হয় না।
মোহাম্মদ রসু মিয়া : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু?
চাঁদপুর কণ্ঠ : দলীয় গঠনতন্ত্র ও রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা একজন কর্মী বা নেতার যথাযথভাবে পালন করা দরকার।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি মনে করেন আপনার দলে উক্ত চর্চা বা মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?
মোহাম্মদ রসু মিয়া : না, আমি তা দেখতে পাই না। আমরা মুখে মুখে শুনি, কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে পাই না।