সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২২, ০০:০০

হাইমচরে ডাকাত সন্দেহে কোস্টগার্ডের হামলায় ১ জেলে নিখোঁজ ॥ আহত ২
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥

হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডাকাত সন্দেহে কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় এক জেলে নিখোঁজ ও ২ জন আহত হয়েছে। ২৯ জুন বুধবার দিবাগত রাত ৪টায় কোস্টগার্ড জেটি সংলগ্ন কাটাখালি মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মোহাম্মদ আলী (৫০) শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ সখীপুরের হোসেন বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত ২ জন একই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে খিজির মিয়া (২৮) ও অলি মিয়া মালের ছেলে বিল্লাল। নিখোঁজ জেলের সন্ধানে হাইমচর ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টকার্ড কাজ করে যাচ্ছে।

আহত বিল্লাল জানান, নদীতে মাছ ধরার জন্য একটি ট্রলারে করে তারা ৭ জেলে নদীতে যান। রাত ৪টার সময় কোস্টগার্ড তাদের কারেন্টজাল ছিনিয়ে নেয়ার জন্যে ধাওয়া করে। তারা কোস্টগার্ডের ভয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কোস্টগার্ড তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারাসহ লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এ সময় কোস্টগার্ডের বোটটি জেলেদের ট্রলারের ওপর উঠিয়ে দিলে তাদের সাথে থাকা মোহাম্মদ আলী নামের জেলে নদীতে পড়ে যান। কোস্টগার্ড ৬ জেলেকে তাদের বোটে উঠিয়ে বেঁধে রাখে।

বিল্লাল বলেন, আমরা কোস্টগার্ডকে যত বলেছি স্যার আমাদের একজন ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে গেছে, তাকে বাঁচান। তারা উল্টো আমাদেরকে মারতে থাকে। কোস্টগার্ড আমাদের নৌকাকে তাদের বোটের সাথে বেঁধে জেটিতে নিয়ে যায়। ভোর হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে মাঝ নদীতে নিয়ে ছেড়ে দেয়। আমরা হাইমচর হাসপাতালে এসে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হই। হাইমচর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছি।

কোস্টগার্ড সিসি গোলাম আলী আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৩০ মিনিটে আমাদের কাছে ফোন আসে নদীতে ২টি ট্রলারে বেশ কিছু ডাকাত সদস্য ডাকাতি করার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা রাত ৪টার সময় টিম নিয়ে নদীতে যাই। নদীতে একটি ট্রলারে ৬ জনের মত লোক দেখতে পাই এবং তথ্যমতে ২টি ট্রলারের একটিতে জালসহ বেশ কয়েকজন লোক আছে জানতে পারি। এ ট্রলারটি যখন আমাদের সামনে পড়ে তখন তাদের থামানোর জন্যে বলা হয়। তখন তারা বোটটি আরো দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমারা তাদের ধরতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আমরা তাদের ধরতে পারি। তাদের আটক করে জেটিতে নিয়ে আসি। যাচাই-বাচাই করে দেখলাম তারা ডাকাত সদস্য নয়। তাই তাদের ৬ জনকেই আমরা ছেড়ে দেই। সকালবেলা শুনি তাদের একজন নাকি নিখোঁজ। তাদের লোক নিখোঁজ রয়েছে তারা আমাদের বলেনি। সকাল ৭টায় শুনতে পাই তাদের লোক একজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এটা শোনার সাথে সাথে নদীতে খুঁজতে নেমে যাই। আমরা এখনো নিখোঁজ জেলের সন্ধানে নদীতে কাজ করে যাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়