প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২২, ০০:০০
প্রস্তাবিত ১শ’ ১৪ কোটি টাকার বাজেট আমাদের জন্যে বড় পাওনা। এটা আমাদের জন্যে অনেকটাই সহজ হবে, যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতা করি। এই বাজেট বাস্তবায়নে সকল পৌরবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হলে হাজীগঞ্জবাসী উপকৃত হবে। গেলো বছরগুলোতে আমরা প্রস্তাবিত বাজেটের ৮০ ভাগের ওপরে অর্থ ব্যয় করেছি। গত অর্থ বছরের চেয়ে এবারে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাজেট পেশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ পৌরসভার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণাকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন এসব কথা বলেন।
পৌরসভা ভবনের হলরুমে আয়োজিত সাংবাদিক ও সুধী সমাবেশে মেয়র লিপন আরো বলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার জন্যে একঝাঁক উন্নয়ন অপেক্ষা করছে। ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং স্টেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরজন্যে অনেকগুলো ধাপে কাজ করতে হবে। হাজীগঞ্জ পৌরসভার অভ্যন্তরে অনেক বালু মহাল রয়েছে, কিন্তু আমরা মাত্র ৩টি বালু মহাল ইজারা পেয়ে থাকি। বাকিগুলোর বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি। পৌরভবনে মুজিব কর্নার করার কাজ চলছে। পৌর অভ্যন্তরসহ হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় করছি। হাজীগঞ্জ বাজারকে যানজটমুক্ত রাখতে বাকিলা থেকে ওয়ারুক পর্যন্ত বাইপাস সড়কের কাজ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এ নিয়ে আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয় মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি কাজ করছেন। বাইপাস হয়ে গেলে বাজারের যানজট থাকবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পৌর মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন আরো বলেন, অবৈধ বালু মহল উচ্ছেদে ও বাজার এলাকায় দখলে থাকা খাল উদ্ধারে আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
বাজেট পেশ অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ ইনামূল হাছান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সফিকুর রহমান ও হিসাবরক্ষক হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর বাজার পরিদর্শক খাজা সফিউল বাসার রুজমন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জাহিদুল আজহার আলম, প্যানেল মেয়র-২ আজাদ মজুমদার, সংরক্ষিত নারী প্যানেল মেয়র রোকেয়া আলমসহ অন্য সকল কাউন্সিলরবৃন্দ, হাজীগঞ্জে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীগণ ও সুধীজন।
প্রস্তাবিত বাজেট :
২০২২-২০২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় পৌর মেয়র বলেন, বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ১শ’ ১৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টাকা, মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ’ ৯ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা। রাজস্ব বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ২৭ কোটি টাকা ৯ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকা, ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার টাকা হয়েছে, উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে লাখ ৮১ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা। উন্নয়ন বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ৮৭ কোটি ৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা, ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ কোটি ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।