প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম খানকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক কার্যকরী কমিটির সভার অজুহাত দেখিয়ে মিডিয়া কর্মীদের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ঘোষণাটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের প্রতি বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিকভাবে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়। ৪ জুন জেলা আওয়ামী লীগের বরাত দিয়ে ফেসবুক পেইজে তাকে বহিস্কারের বিষয়টি জানানো হয়। অথচ, এর পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত কোনো এজেন্ডা রাখা হয়নি। এমনকি সেলিম খানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে-এ মর্মে কোনো আলোচনাও হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ৭ জুন সকালে ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে যৌথ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় কী কারণে সভাপতি মোঃ সেলিম খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর সাংগঠনিকভাবে এ ব্যাপারে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সভাপতির কাছে যৌথ বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত সমূহ পাঠানো মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সেই যৌথ বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলী এরশাদ মিয়াজী বরাবরে পাঠানো হয়। তাদের স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে ১৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বরাবরে অবহিতপত্রসহ যৌথ সভার সিদ্ধান্ত সমূহ পাঠিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল অগঠনতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম খানকে আজীবনের জন্যে বহিষ্কার ঘোষণা করেন। অথচ, বহিস্কারের ব্যাপারে এ যাবত মোঃ সেলিম খানকে কোনো লিখিত পত্র দেয়া হয়নি। এমনকি তারাও বহিষ্কার বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে পায়নি। শুধু দু’-একজন শীর্ষ নেতার বরাত দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কাজটি করেছেন।