প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীসহ ৪ জন নিহতের পর বাসচালক মারুফ হোসেন মুন্না (২৪) মারা গেছেন। দুর্ঘটনার দিন বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত ৫ জুন সোমবার দুপুরে রাজধানীর অদূরে সাভারে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরে বাংলা থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চৌধুরী। নিহত মুন্না শাহরাস্তি উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। তিনি মিরপুর দারুস সালামের লালকুটি এলাকায় থাকতেন।
এ দিন বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্না মারা যান। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ জন। অপর নিহতরা হলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পূজা সরকার, প্রকৌশলী কাউসার আহম্মেদ ও পরমাণু শক্তি কমিশন স্টাফ বাসের চালক রাজিব হোসেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
এ দিকে শাহরাস্তি উপজেলায় বোয়ালিয়া নামে কোনো গ্রাম নেই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে মেহের উত্তর ইউনিয়নে বরুলিয়া নামক একটি গ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মান্নানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এমন কোনো তথ্য জানা নেই এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো ম্যাসেজ পাননি।
জানা গেছে, গত ৫ জুন রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর সাভারের বালিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীসহ ঘটনাস্থলে চারজন নিহতসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এরপর ওই দিন বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালক মারুফ হোসেন মুন্না মারা যান। এ ঘটনায় হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক ফজলুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
শেরে বাংলা থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ চৌধুরী রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত অবস্থায় একজন মারা গেছেন বলে খবর পাই। এরপর পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল করে মরদেহ ময়না তদন্তশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, ওই বাসচালকের নাম মারুফ হোসেন মুন্না। তিনি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে।
এদিকে ওই সড়ক দুর্ঘটনার একটি সিসিটিভির ভাইরাল হওয়া ফুটেজে দেখা যায়, ৫ জুন সকাল নয়টার দিকে ঢাকাণ্ডআরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কুষ্টিয়া থেকে গরুবোঝাই ট্রাক ও সেইফ লাইন নামের একটি বাস যাচ্ছিল। সেইফ লাইনের বাসটি হঠাৎ বাঁ-পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটি বাসকে ধাক্কা দেয়।
এরপর ডানপাশে থাকা গরুবোঝাই ট্রাকটিকে সামনের দিকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে মহাসড়কের আরিচামুখী লেনে চলে আসে। পাশে জায়গা না থাকায় ট্রাকটিও সড়ক বিভাজকের ওপরে উঠে আরিচামুখী লেনে চলে আসে। এ সময় আরিচামুখী লেনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি স্টাফ বাসের সামনের দিকে সজোরে ধাক্কা দেয় সেইফ লাইনের বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়।