প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারে দিনের বেলায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা যাত্রীদের অর্থ ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ১৮ জুলাই রোববার বিকেল সাড়ে চারটার সময় শরীয়তপুর ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুর আসার পথে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম এ ঘটনা নিশ্চত করেন।
ডাকাতের কবলে অর্থ ও মালামাল হারিয়ে যাত্রীরা এর সাথে ট্রলার চালক/মাঝি জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে তাদের দুজনকে মারধর করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাদের বিষয়টি তদন্ত করছে।
ডাকাতের কবলে পড়া সৈকত (২৫) নামে একজন যাত্রী জানান, তিনি চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মচারী। ডিসি ফুড কর্মকর্তাকে শরিয়তপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ঘাটের ট্রলারযোগে চাঁদপুর শহরের দিকে আসার জন্যে ওই ট্রলারে উঠেন। তিনি সহ প্রায় ৩০/৩৫ জন যাত্রী ছিল ট্রলারটিতে। বিকেল চারটার সময় ট্রলারটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে আসছিল। আধাঘন্টা চলার পর হঠাৎ ১০/১২ জনের ডাকাত দল স্পীডবোট নিয়ে এসে চলন্ত ট্রলারের গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং যা কিছু আছে সবকিছু দিয়ে দেয়ার জন্যে বলে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতরা অর্থ ও মালামাল কেড়ে নেয়।
সৈকত আরো জানান, তার স্মার্টফোন এবং তার কাছে থাকা ৯ হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে যায়। এভাবে প্রত্যেক যাত্রীর কাছে যা ছিল সব কিছু লুট করে নিয়ে তারা নদী পথে শরিয়তপুরের দিকে চলে যায়।
এ ঘটনার আগে আরো দুটি ট্রলারে একই কায়দায় ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে চাঁদপুর থানা ওসি মো জাহিদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনার সাথে সাথে নৌণ্ডপুলিশের প্রত্যেকটি জায়গায় ম্যাসেজ চলে যাওয়ার পর নৌ পুলিশের ধাওয়ায় এবং চেয়ারম্যান স্টেশন এলাকার স্থানীয় জনগণ ডাকাতির খবর পেয়ে ধাওয়া করে পালিয়ে যাবার সময় দুই ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্পীডবোটটিও এলাকাবাসীর সহায়তায় জব্দ করে। আটক দুই ডাকাত এবং স্পীড বোটটি এখন শরীয়তপুরের সখিপুর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে চাঁদপুর নৌ থানা সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ঈদ আসলে চাঁদপুর নৌ অঞ্চলে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত হয়ে আসছে। ইতিপূর্বে শরীয়তপুরণ্ডসুরেশ^র থেকে চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী একটি লঞ্চে দিনে দুপুরে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল।