শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

ঈশানবালায় বোরো চর ভোগদখল নিয়ে দুগ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৫ জন আহত
মিজানুর রহমান ॥

হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা বোরোচর বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি খাস জমির ভোগদখল নিয়ে স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে হামলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১১জন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

৩ এপ্রিল সোমবার বেলা পৌনে ১২টার সময় হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা ব্যালেন্স শীট চরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন উত্তর ঈশানবালার আবুল মাতাব্বর (৬৮), আবুল কালাম (৩০), আল-আমিন মাতাব্বর (৩৯), আলামিন ভূঁঞা (৩২), নুরুল ইসলাম (৪৯), ইসমাইল ভূঁঞা (৩৫)। এরা সবাই একই পরিবারের ও আত্মীয়-স্বজন।

অপর গ্রুপের আহতরা হলেন- মোল্লাকান্দির বিল্লাল মইশাল (৬০) ও তার ছেলে হৃদয় (২২), জামাল মাঝি (৩৮), সাহেব আলী (৩৩) ও ছিডু মইশাল (৩৫)। রোববার বিকেলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল জরুরি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার মিজানুর রহমান জানান, আহতদের অধিকাংশের মাথায়, হাতে ধারালো অস্ত্রের জখমের আঘাত রয়েছে। যারা হাসপাতালে এসেছেন প্রত্যেককেই চিকিৎসা এবং ভর্তি দেয়া হয়েছে।

নীলকমল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, দুই পক্ষের মারামারির খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি।

তিনি বলেন, ব্যালেন্স শীট চরের কিছু জমি সরকার থেকে লিজ প্রাপ্তরা একটি পক্ষকে এক বছরের চুক্তিতে বোরো আবাদ এবং মৎস্য আহরণ করতে দেয়। অপরপক্ষ সেই জমি তাদের দাবি করে ভোগদখল করতে চেষ্টা করছে। এ নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।

আহত ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, কোনো কিছু বুঝার উপায় ছিল না। প্রতিপক্ষরা তিন থানার লোক একত্রিত করে জাল নিয়ে গেছে জায়গা দখল করতে। এ সময় তারা আমাদের উপর দা-ছেনি ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

অপরদিকে বিল্লাল মইশাল জানান, ভূমিহীন হিসেবে ওই জায়গার কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষরা ওই জায়গায় বোরো আবাদ এবং জাল পেতে মাছ ধরছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন বোরো ধান কাটা এবং নদীর পাড়ে গছিজাল পাতা নিয়ে স্থানীয় বিল্লাল মইশাল গ্রুপ ও কালু ভুঁঞার ছেলেদের সাথে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়