অবশেষে অপসারিত হয়েছে বাবুরহাট স্কুলের সামনে থেকে অটোস্ট্যান্ড। দীর্ঘদিন যাবত বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে অটোস্ট্যান্ড বসিয়ে সেখান থেকে চাঁদা তুলতো একটি মহল। এদের ছত্রছায়ায় সেখানে তাদের একটি গ্যাংও সৃষ্টি হয়েছিলো। চাঁদপুর কণ্ঠে দীর্ঘ চার বছরে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে অপসারিত হয়েছে স্কুলের সামনে থাকা সেই অটোস্ট্যান্ড। পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে স্কুলের সামনে থেকে অটোস্ট্যান্ড অপসারণে মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাবুরহাট স্কুলের সামনে অটোস্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার জন্যে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র বরাবর অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অটোস্ট্যান্ড বসিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। অটোস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত সেখানে মাদকসেবী ও বখাটেদের আড্ডা জমে এবং এ আড্ডা থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ইভটিজিং ও অপহরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান।

এর আগে করোনাকালীন সময়ের পূর্বে স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোগ নিলেও সরাতে পারেননি এই অটোস্ট্যান্ডটি। জানা যায়, এই অটোস্ট্যান্ডটি ছাত্রলীগের স্থানীয় কিছু নেতার ছত্রছায়ায় পরিচালিত হতো। তারা প্রতি অটো থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দিনপ্রতি আদায় করতো বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বাবুরহাট স্কুলের সামনে অটোস্ট্যান্ড বসিয়ে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীরা’ শিরোনামে চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ওই সংবাদে এই অটোস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নানারকম বিশৃঙ্খল কাজে জড়িয়ে পড়ছে ও বিদ্যালয়ে আগত ছাত্রীদের এবং এই সড়কে চলাচলকারী কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করছে বলে জানা যায়।