প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
মধ্যবয়স্ক জাহাঙ্গীর। পেশায় ছিলেন অটোরিকশা চালক। ৬ সন্তান আর স্ত্রী নিয়ে কিছুটা ভালো চলতে পারতেন। কিন্তু বিধিবাম। প্রায় ৭ মাস আগে হঠাৎ করে এক দুর্ঘটনায় পা হারাতে বসেছেন। চিকিৎসা চলছে না। সংসার চলছে না। অসুস্থ আর বেকার জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাই যেনো অন্যায় হয়ে গেছে জাহাঙ্গীরের জীবনে। জাহাঙ্গীর হাজীগঞ্জের ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত আঃ হালিমের ছেলে।
জাহাঙ্গীর জানান, সারাটা জীবন কষ্টে কেটেছে। যেভাবে সম্ভব কাজ করে সংসার চালিয়েছেন। কখনো বেকার থাকেননি। কর্মজীবনে প্রথম দিকে হকারের কাজ করতেন। পরে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। প্রায় ৭ বছর আগে জাহাঙ্গীরের অটোরিকশার সাথে আরেকটি গাড়ির সংঘর্ষ ঘটে। এতে পরে তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। এরপরে এক এক করে চিকিৎসক দেখিয়ে আর চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এখন তাকে পায়ে রিং নিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। যাকে এক কথায় বলা চলে ‘পঙ্গু’।
জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, জীবনের গত প্রায় ৮টি মাস বেকার জীবন পার করছি। পায়ে রিং পরা, ডাক্তার কবে নাগাদ রিং খুলবে তা-ও জানা নাই। সঠিক চিকিৎসা করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। এদিকে বড় ছেলে আমাদের ছেড়ে কোথায় যেনো চলে গেছে। পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে বড়ই বিপাকে আছি। আমি কর্মে ফিরতে চাই। চিকিৎসার খরচ পেতে আমি সহযোগিতা চাই।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও স্থানীয় বেলায়েত শাহাজান বলেন, জাহাঙ্গীর একজন কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে এখন পঙ্গু হয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।